আফ্রিদি ঝড়ে বিধ্বস্ত সিলেট শহীদ আফ্রিদি। নামটিতেই কেমন জানি ঝড় ঝড় ভাব।
আফ্রিদি ঝড়ে বিধ্বস্ত সিলেট
শহীদ আফ্রিদি। নামটিতেই কেমন জানি ঝড় ঝড় ভাব। বিশেষ প্রতিনিধি লেখকঃ মোঃ রনি
হ্যা সেই আফ্রিদি ঝড়েই পুরোপুরি বিধ্বস্ত সিলেট সিক্সার্স। বোলিংয়ে ১২ রানে ৪ উইকেটের পর ব্যাটিং ১৭ বলে ৩৭ রানের ঝড়। পুরোপুরি লণ্ডভণ্ড সিলেট। ঢাকাও যেন ফিরে পেলো প্রাণ। প্রথম ম্যাচে দর্শকের জন্য হাহাকার থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচে পরিপূর্ণ ছিলো গ্যালারি। বলতে গেলে সকলেই এসেছিলেন আফ্রিদির খেলা উপভোগ করতে। দর্শকদের আশা অপুর্ণ রাখেননি আফ্রিদিও।
সিলেট পর্বে নিজেদের মাঠে দাপটের সঙ্গে টানা তিন ম্যাচে জয় পায় সিলেট সিক্সার্স। ঢাকায় এসে একেবারেই ভিন্নরূপে তারা। এ যেন ঠিক মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। শহীদ আফ্রিদি ও সুনিল নারিন দলে আসার পর পাল্টে যায় ঢাকা ডায়নামাইটস। দুজনের স্পিন ছোবলে নীল হয়ে ওঠে সিলেট। আফ্রিদি ও নারিন মিলে নেন সিলেটের ৭ উইকেট।
শনিবার ঢাকা পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত কে সঠিক প্রমাণ করেন ঢাকার বোলাররা। ৫৩ রানে ৯ উইকেটের পতনের পর শেষ দিকে তাইজুল ও আবুল হাসানের ৪৮ রানের পার্টনারশিপে দলীয় শতক পূরণ করে সিলেট। ঢাকার সামনে ১০২ রানের লক্ষ দেয় সিলেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৮রানে আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী থারাঙ্গাকে (১) উইকেটের পিছনে জহুরুল ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান রনি। দ্বিতীয় ওভারে আবার আঘাত এবার বোলার ক্যারিবীয় স্পিনার নারিন। ডেলপোর্টের ক্যাচ বানিয়ে মারকুটে সাব্বিরকে (১) প্যাভিলিয়নের পাঠান নারিন। চতুর্থ ওভারে আবারো রনির আঘাত। এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান লঙ্কান ওপেনার গুনাথিলাকা (১৫)। এরপরই মূলত আফ্রিদি ও নারিন নিজেদের মধ্যে উইকেট ভাগাভাগি করে নেন। মাঝে শুধু অধিনায়ক নাসির (১০) রান করেন। বাকিরা কেউই ডাবল ফিগারে পৌঁছাতে পারেনি।
শেষ দিকে আবুল হাসানের ২৬ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩০ রান এবং তাইজুল ইসলাম ২০ বলে ১৬ রান দলকে শতরান পূরণে সাহায্য করে।
ঢাকার পক্ষে শহীদ আফ্রিদি ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট, সুনিল নারিন ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট এবং আবু হায়দার রনি ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট লাভ করেন।
১০২ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে আফ্রিদি শুরু থেকে সিলেটের ওপেনিং বোলার ব্রেসনানের উপর দিয়ে ঝড় তোলেন। প্রথম ওভারে আফ্রিদি একাই নেন ১৩ রান। যেখানে ছিলো ২টি ছয়ের মার। পরের ২ ওভারে তাইজুল ও আবুল হাসান ১৯ রান দেন। চতুর্থ ওভারে তাইজুল ইসলামকে একেবারে ধুয়ে ফেলেন আফ্রিদি ও লুইস। উভয়ে ২টি করে চারটি ছয়ের সাহায্যে ওভারে নেন ২৬ রান। দলীয় ৬৫ রানে ঢাকা প্রথম উইকেট হিসেবে আফ্রিদিকে হারালেও কাজের কাজ ঠিকই করে যান। তার নামের পাশে ১৭ বলে ৩৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস। যেখানে রয়েছে ৫ ছক্কা ও ১ চার।
আফ্রিদির ফেরার পর উইকেটে আসেন ক্যামেরণ ডেলপোর্ট; কিন্তু পরের বলেই ডেলপোর্টকেও প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেন ব্রেসনান। ফলে হ্যাটট্রিকের দারুণ এক সম্ভাবনা তৈরি হয় ব্রেসনানের; কিন্তু এভিন লুইস সে সুযোগ গ্রহণ করতে দেননি ব্রেসনানকে।
বাকি সময়ে সিলেট আর কোন সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। সাকিব আর এভিন লুইস মিলে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। লুইস ১৮ বলে অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনিও মারেন ৫টি ছক্কার মার। সাকিব আল হাসান ছিলেন ১৮ রানে অপরাজিত। দু'জনে মিলে গড়েন ৪৭ রানের জয়সূচক জুটি।
সিলেটের হয়ে ব্রেসনান ছাড়া আর কেউ উইকেটের দেখা পাননি। এই জয়ের ফলে সিলেট পর্বের হারের যেন মধুর প্রতিশোধই নিলো ঢাকা ডায়নামাইটস। বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর দুর্ধর্ষ ব্যাটিং। সুতরাং, চোখ বন্ধ করেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠলো শহিদ আফ্রিদির হাতেই।
সিলেট সিক্সার্স ২০ ওভার ১০১/৯ (দানুসকা গুনাথিলাকা ১৫, উপুল থারাঙ্গা ১, সাব্বির রহমান ১, নাসির হোসেন ১০, রস হুইটলি ৬, নুরুল হাসান ৮, ওয়ানান্দা হাসারাঙ্গা ৮, টিম ব্রেসনান ২, আবুল হাসান রাজু ৩০, মোহাম্মদ শরীফ ০, তাইজুল ইসলাম ১৬; মোসাদ্দেক হোসাইন ০/৭, আবু হায়দার রনি ২/২৩, সুনিল নারাইন ৩/১০, শহীদ আফ্রিদি ৪/১২, সাকিব আল হাসান ০/১০, মোহাম্মদ শহীদ ০/২১, ক্যামেরন ডেলপোর্ট ০/১০, খালেদ আহমেদ ০/৭)
ঢাকা ডায়নামাইটস ৭.৫ ওভার ১০৬/২ (এভিন লুইস ৪৪*, শহীদ আফ্রিদি ৩৭, ক্যামরন ডেলপোর্ট ০, সাকিব আল হাসান ১৮*; টিম ব্রেসনান ২/২০, তাইজুল ইসলাম ০/৩৫, আবুল হাসান ০/১০, নাসির হোসেন ০/১১, দানুসকা গুনাথিলাকা ০/১০, ওয়ানান্দা হাসারাঙ্গা ০/২০)
ফলাফল: ঢাকা ডায়নামাইটস ৮ উইকেটে জয়ী প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: শহীদ আফ্রিদি (ঢাকা ডায়নামাইটস) এএ/
শহীদ আফ্রিদি। নামটিতেই কেমন জানি ঝড় ঝড় ভাব। বিশেষ প্রতিনিধি লেখকঃ মোঃ রনি
হ্যা সেই আফ্রিদি ঝড়েই পুরোপুরি বিধ্বস্ত সিলেট সিক্সার্স। বোলিংয়ে ১২ রানে ৪ উইকেটের পর ব্যাটিং ১৭ বলে ৩৭ রানের ঝড়। পুরোপুরি লণ্ডভণ্ড সিলেট। ঢাকাও যেন ফিরে পেলো প্রাণ। প্রথম ম্যাচে দর্শকের জন্য হাহাকার থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচে পরিপূর্ণ ছিলো গ্যালারি। বলতে গেলে সকলেই এসেছিলেন আফ্রিদির খেলা উপভোগ করতে। দর্শকদের আশা অপুর্ণ রাখেননি আফ্রিদিও।
সিলেট পর্বে নিজেদের মাঠে দাপটের সঙ্গে টানা তিন ম্যাচে জয় পায় সিলেট সিক্সার্স। ঢাকায় এসে একেবারেই ভিন্নরূপে তারা। এ যেন ঠিক মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। শহীদ আফ্রিদি ও সুনিল নারিন দলে আসার পর পাল্টে যায় ঢাকা ডায়নামাইটস। দুজনের স্পিন ছোবলে নীল হয়ে ওঠে সিলেট। আফ্রিদি ও নারিন মিলে নেন সিলেটের ৭ উইকেট।
শনিবার ঢাকা পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত কে সঠিক প্রমাণ করেন ঢাকার বোলাররা। ৫৩ রানে ৯ উইকেটের পতনের পর শেষ দিকে তাইজুল ও আবুল হাসানের ৪৮ রানের পার্টনারশিপে দলীয় শতক পূরণ করে সিলেট। ঢাকার সামনে ১০২ রানের লক্ষ দেয় সিলেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৮রানে আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী থারাঙ্গাকে (১) উইকেটের পিছনে জহুরুল ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান রনি। দ্বিতীয় ওভারে আবার আঘাত এবার বোলার ক্যারিবীয় স্পিনার নারিন। ডেলপোর্টের ক্যাচ বানিয়ে মারকুটে সাব্বিরকে (১) প্যাভিলিয়নের পাঠান নারিন। চতুর্থ ওভারে আবারো রনির আঘাত। এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান লঙ্কান ওপেনার গুনাথিলাকা (১৫)। এরপরই মূলত আফ্রিদি ও নারিন নিজেদের মধ্যে উইকেট ভাগাভাগি করে নেন। মাঝে শুধু অধিনায়ক নাসির (১০) রান করেন। বাকিরা কেউই ডাবল ফিগারে পৌঁছাতে পারেনি।
শেষ দিকে আবুল হাসানের ২৬ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩০ রান এবং তাইজুল ইসলাম ২০ বলে ১৬ রান দলকে শতরান পূরণে সাহায্য করে।
ঢাকার পক্ষে শহীদ আফ্রিদি ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট, সুনিল নারিন ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট এবং আবু হায়দার রনি ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট লাভ করেন।
১০২ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে আফ্রিদি শুরু থেকে সিলেটের ওপেনিং বোলার ব্রেসনানের উপর দিয়ে ঝড় তোলেন। প্রথম ওভারে আফ্রিদি একাই নেন ১৩ রান। যেখানে ছিলো ২টি ছয়ের মার। পরের ২ ওভারে তাইজুল ও আবুল হাসান ১৯ রান দেন। চতুর্থ ওভারে তাইজুল ইসলামকে একেবারে ধুয়ে ফেলেন আফ্রিদি ও লুইস। উভয়ে ২টি করে চারটি ছয়ের সাহায্যে ওভারে নেন ২৬ রান। দলীয় ৬৫ রানে ঢাকা প্রথম উইকেট হিসেবে আফ্রিদিকে হারালেও কাজের কাজ ঠিকই করে যান। তার নামের পাশে ১৭ বলে ৩৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস। যেখানে রয়েছে ৫ ছক্কা ও ১ চার।
আফ্রিদির ফেরার পর উইকেটে আসেন ক্যামেরণ ডেলপোর্ট; কিন্তু পরের বলেই ডেলপোর্টকেও প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেন ব্রেসনান। ফলে হ্যাটট্রিকের দারুণ এক সম্ভাবনা তৈরি হয় ব্রেসনানের; কিন্তু এভিন লুইস সে সুযোগ গ্রহণ করতে দেননি ব্রেসনানকে।
বাকি সময়ে সিলেট আর কোন সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। সাকিব আর এভিন লুইস মিলে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। লুইস ১৮ বলে অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনিও মারেন ৫টি ছক্কার মার। সাকিব আল হাসান ছিলেন ১৮ রানে অপরাজিত। দু'জনে মিলে গড়েন ৪৭ রানের জয়সূচক জুটি।
সিলেটের হয়ে ব্রেসনান ছাড়া আর কেউ উইকেটের দেখা পাননি। এই জয়ের ফলে সিলেট পর্বের হারের যেন মধুর প্রতিশোধই নিলো ঢাকা ডায়নামাইটস। বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর দুর্ধর্ষ ব্যাটিং। সুতরাং, চোখ বন্ধ করেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠলো শহিদ আফ্রিদির হাতেই।
সিলেট সিক্সার্স ২০ ওভার ১০১/৯ (দানুসকা গুনাথিলাকা ১৫, উপুল থারাঙ্গা ১, সাব্বির রহমান ১, নাসির হোসেন ১০, রস হুইটলি ৬, নুরুল হাসান ৮, ওয়ানান্দা হাসারাঙ্গা ৮, টিম ব্রেসনান ২, আবুল হাসান রাজু ৩০, মোহাম্মদ শরীফ ০, তাইজুল ইসলাম ১৬; মোসাদ্দেক হোসাইন ০/৭, আবু হায়দার রনি ২/২৩, সুনিল নারাইন ৩/১০, শহীদ আফ্রিদি ৪/১২, সাকিব আল হাসান ০/১০, মোহাম্মদ শহীদ ০/২১, ক্যামেরন ডেলপোর্ট ০/১০, খালেদ আহমেদ ০/৭)
ঢাকা ডায়নামাইটস ৭.৫ ওভার ১০৬/২ (এভিন লুইস ৪৪*, শহীদ আফ্রিদি ৩৭, ক্যামরন ডেলপোর্ট ০, সাকিব আল হাসান ১৮*; টিম ব্রেসনান ২/২০, তাইজুল ইসলাম ০/৩৫, আবুল হাসান ০/১০, নাসির হোসেন ০/১১, দানুসকা গুনাথিলাকা ০/১০, ওয়ানান্দা হাসারাঙ্গা ০/২০)
ফলাফল: ঢাকা ডায়নামাইটস ৮ উইকেটে জয়ী প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: শহীদ আফ্রিদি (ঢাকা ডায়নামাইটস) এএ/