পটুয়াখালীতবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের চার্জ আহত ছাএলীগের১৬ নেতাকর্মী?
এ কর্মসূচীর সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে অনুরুপ কর্মসূচী পালন করেছে একেএম কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছে। উল্লেখ্য গতকাল রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের উপর হামলা চালায় পুলিশ। এতে শেখ কামাল ছাত্রাবাসের সভাপতি,সাধারন সম্পাদকসহ কমপক্ষে ১৬জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। রাতেই তাদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাতে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান সিকদার।
কলেজ ছাত্রলীগের সাধরন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ জানান,শেখ কামাল ছাত্রাবাসের ৩১০নম্বর কক্ষের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী রবি চকবাজরের বাপ্পি টেলিকম নামের একটি দোকান থেকে একটি মোবাইল ফোন কেনেন।
কেনার দুই দিন পর সেটিতে সমস্যা দেখা দিলে তিনি মোবাইলটি ঐ দোকানে নিয়ে গেলে সার্ভিসিংয়ের জন্য তিনি ফোনটি রেখে দেন। প্রায় একমাস পর সেটি ফেরত দেন দোকানের মালিক বাপ্পি। কিন্তু একই সমস্যা বহাল থাকায় রবি পূনরায় তার দোকানে ফোন সেটটি নিয়ে গেলে বাপ্পির দোকানে থাকা তার বন্ধুরা রবিকে লাঞ্ছিত করে। কলেজ হোস্টেলে এ খবর পৌছলে শেখ কামাল ছাত্রাবাসের ছাত্রলীগ সভাপতি জনির নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী বুধবার রাত ৮টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বনানী এলাকায় পৌছলে সেখানে বাপ্পিকে পেয়ে ধাওয়া দেন। বাপ্পি ধাওয়া খেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা কলেজে ফিরে যাবার সময় ঈদগাহ মাঠের কোনায় পৌছলে সেখানে হঠাৎ পুলিশের সাথে তাদের কথাকাটা কাটি হয়। ছাত্রলীগের একাধীক কর্মী অভিযোগ করেন কোন রকম উষ্কানী ছাড়াই রাতের আধারে পুলিশ তাদের উপর হঠ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলে শেখ কামাল ছাত্রাবাস ছাত্রলীগের সভাপতি জনি,একই হলের সাধারন সম্পাদক এম.এইচ হৃদয়,অর্থনীতি বিভাগের আতিক,হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের আলমাস,উচ্চ মাধ্যমিকের রাকিবসহ ১৬ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের তাৎক্ষনিক পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্র্তি করা হয়।
শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শত শত শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে। শিক্ষার্থীরা এ সময় দোষী পুলিশের শাস্তির দাবীতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। পরে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান সিকদার ক্যাম্পাসে পৌছে শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ছাত্রাবাসে ফিরিয়ে নেন।
আজ মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন শিক্ষার্থীদের দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান,তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
পটুয়াখালী প্রতিনিধি মোঃ লোকমান মৃধা