# নিশ্চয়ই_খোদাভীরুদের_কাছে_তাক্ব
ওয়ার_মূল্য_সবকিছুর_থেকে_বেশি
লেখকঃ মোঃ রনি
# আদর্শ_গল্পঃ শাহ ইবনে শুজা কিরমানি ও তাঁর কন্যা।
শাহ ইবনে শুজা কিরমানি এক বিশাল রাজ্যের বাদশাহ ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি বাদশাহী ছেড়ে ফকীরের বেশ ধারনা করেন। তারঁ এক পরমা সুন্দরী কন্যা ছিল। অন্য রাজ্যের এক বাদশাহ তারঁ কন্যার বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু তিনি ঘৃনা ভরে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। একদিন শাহ ইবনে শুজা কিরমানি এক যুবকের নামায আদায় করার তরীকা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁর সাথে স্বীয় কন্যার বিয়ে দেন। যুবক কন্যাকে নিয়ে নিজ ঘরে প্রত্যাবর্তন করেন। কন্যা স্বামীর ঘরে গিয়ে দেখতে পেলেন যে, একটি শুকনো রুটি দ্বারা কলসির মুখ ঢেকে রাখা হয়েছে। স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কি??? স্বামী যুবক উত্তর দিলেন ঃ সারাদিন রোযা রেখেছি তাই ইফতার করার জন্য এ রুটি রেখেছি। এ কথা শুনেই বাদশাহজাদি আপন পিতার বাড়ির দিকে যাত্রা করলেন। যুবক বললেন, আমি আগেই জানতাম যে, বাদশাহযাদী কেমন করে আমার মত সহায়-সম্বলহীন হতদরিদ্র যুকবের সঙ্গে জীবনযাপন করবেন? বাদশাহযাদী বললেন, ঃ নিশ্চয়ই আমি আপনার দারিদ্রতার জন্য বাবার বাড়িতে রওয়ানা হই নাই বরং আব্বা বলেছেন, তোমার বিয়ে দিয়েছি এক আল্লাহওয়ালা যুবকের সাথে। একথা শুনে আমি অত্যান্ত আনন্দিত হয়েছিলাম। কিন্তু দেখছি যে, আমার স্বামী ধার্মিক নয় বরং নাস্তিক!!!
সে যদি আল্লাহওয়ালাই হবে, তবে কেন সে ঘরে ইফতারের জন্য রুটি জমা করে রাখবে?!?
এখন এ ঘরে হয় রুটি থাকবে নতুবা আমি থাকব। যুবক তৎক্ষণাৎ রুটিটি দান করে দিলেন। অতঃপর কন্যা সন্তুষ্ট চিত্তে যুবকেরর সাথে ঘর করতে লাগলেন।
নিশ্চয়ই এ ঘটনায় বিশ্বাসীদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় আছে। অর্থাৎ,
১| সম্পদ নয় ধার্মিক ছেলের কাছেই মেয়েকে বিবাহ দেয়া অভিভাবকের দায়িত্ব এবং মেয়ের জন্য কল্যানকর।
২|মেয়েদের জন্যও শিক্ষণীয় বিষয় হলো, সু-দর্শন এবং সম্পদশালী পাত্র নয় বরং আল্লাহওয়ালা পাত্রই তাদের জন্য কল্যানকর ও সুখের।
৩|আরেকটা শিক্ষণীয় বিষয় হল, ওলী দরবেশদের জীবনের ছবি এমনই হয়, যা উল্লেখিত ঘটনায় দেখা গেল। আল্লাহ তা'য়ালার ওপর যাদের ভরসা এমনি চরম ও পরম তাঁদের তাওয়াক্কুল এরকমই হয়।
আল্লাহ আমাদের সকলকে এর উপরে সঠিকভাবে আমল করার তৌফিক দান করুন।
★আমীন★
ওয়ার_মূল্য_সবকিছুর_থেকে_বেশি
লেখকঃ মোঃ রনি
# আদর্শ_গল্পঃ শাহ ইবনে শুজা কিরমানি ও তাঁর কন্যা।
শাহ ইবনে শুজা কিরমানি এক বিশাল রাজ্যের বাদশাহ ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি বাদশাহী ছেড়ে ফকীরের বেশ ধারনা করেন। তারঁ এক পরমা সুন্দরী কন্যা ছিল। অন্য রাজ্যের এক বাদশাহ তারঁ কন্যার বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু তিনি ঘৃনা ভরে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। একদিন শাহ ইবনে শুজা কিরমানি এক যুবকের নামায আদায় করার তরীকা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁর সাথে স্বীয় কন্যার বিয়ে দেন। যুবক কন্যাকে নিয়ে নিজ ঘরে প্রত্যাবর্তন করেন। কন্যা স্বামীর ঘরে গিয়ে দেখতে পেলেন যে, একটি শুকনো রুটি দ্বারা কলসির মুখ ঢেকে রাখা হয়েছে। স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কি??? স্বামী যুবক উত্তর দিলেন ঃ সারাদিন রোযা রেখেছি তাই ইফতার করার জন্য এ রুটি রেখেছি। এ কথা শুনেই বাদশাহজাদি আপন পিতার বাড়ির দিকে যাত্রা করলেন। যুবক বললেন, আমি আগেই জানতাম যে, বাদশাহযাদী কেমন করে আমার মত সহায়-সম্বলহীন হতদরিদ্র যুকবের সঙ্গে জীবনযাপন করবেন? বাদশাহযাদী বললেন, ঃ নিশ্চয়ই আমি আপনার দারিদ্রতার জন্য বাবার বাড়িতে রওয়ানা হই নাই বরং আব্বা বলেছেন, তোমার বিয়ে দিয়েছি এক আল্লাহওয়ালা যুবকের সাথে। একথা শুনে আমি অত্যান্ত আনন্দিত হয়েছিলাম। কিন্তু দেখছি যে, আমার স্বামী ধার্মিক নয় বরং নাস্তিক!!!
সে যদি আল্লাহওয়ালাই হবে, তবে কেন সে ঘরে ইফতারের জন্য রুটি জমা করে রাখবে?!?
এখন এ ঘরে হয় রুটি থাকবে নতুবা আমি থাকব। যুবক তৎক্ষণাৎ রুটিটি দান করে দিলেন। অতঃপর কন্যা সন্তুষ্ট চিত্তে যুবকেরর সাথে ঘর করতে লাগলেন।
নিশ্চয়ই এ ঘটনায় বিশ্বাসীদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় আছে। অর্থাৎ,
১| সম্পদ নয় ধার্মিক ছেলের কাছেই মেয়েকে বিবাহ দেয়া অভিভাবকের দায়িত্ব এবং মেয়ের জন্য কল্যানকর।
২|মেয়েদের জন্যও শিক্ষণীয় বিষয় হলো, সু-দর্শন এবং সম্পদশালী পাত্র নয় বরং আল্লাহওয়ালা পাত্রই তাদের জন্য কল্যানকর ও সুখের।
৩|আরেকটা শিক্ষণীয় বিষয় হল, ওলী দরবেশদের জীবনের ছবি এমনই হয়, যা উল্লেখিত ঘটনায় দেখা গেল। আল্লাহ তা'য়ালার ওপর যাদের ভরসা এমনি চরম ও পরম তাঁদের তাওয়াক্কুল এরকমই হয়।
আল্লাহ আমাদের সকলকে এর উপরে সঠিকভাবে আমল করার তৌফিক দান করুন।
★আমীন★
পোস্টগুলি
