বিএনপির মনোনয়ন ফরম নিলেন রিপন-তাবিথসহ পাঁচজন
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ভোট করতে আগ্রহী দলের কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, তাবিথ আউয়ালসহ ৫ জন বিএনপির মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। রোববার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তারা মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। মনোনয়ন ফরমের দাম ঠিক করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা।
যারা মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তারা হলেন— দলের বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সহ-প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদ সুমন, গতবারের দলীয় মেয়র প্রার্থী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান এবং মহানগর উত্তরের সভাপতি এম এ কাইয়ুম।
রোববার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে প্রার্থীরা দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। সকাল সোয়া ১১টায় প্রথম ফরম কিনেন শাকিল ওয়াহেদ এবং এরপর আখতারুজ্জামান। ঢাকা উত্তরের সভাপতি এম এ কাইয়ুমের পক্ষে মনোনয়নপত্র কেনেন তার প্রতিনিধি উত্তরের সিনিয়র সহসভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ জি এম শামসুল হক।
উল্লেখ্য, ইতালীয় নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যা মামলার আসামি হচ্ছেন এম এ কাইয়ুম। এছাড়া দলের বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপনও মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এ সময়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী জানান, সোমবার নয়াপল্টনের কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম ২৫ হাজার টাকা জামানতসহ জমা নেয়া হয় বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাত্কার নেয়া হবে। স্থায়ী কমিটির সদস্যরাই এই মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তারাই এই সাক্ষাত্কার গ্রহণ করবেন।
রিজভী বলেন, মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই করে একজন প্রার্থীকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেবেন এবং তার নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন। আমরা আশা করছি, মনোনয়ন বোর্ডের সাক্ষাত্কারের পর সেদিনই (সোমবার) চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করা হবে।
দুপুরে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে তাবিথ আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, আমি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মনোনয়ন ফরম কিনেছি। আমি আশাবাদী বিএনপির মনোনয়ন আমি পাব। কারণ এই নির্বাচনের প্রথম পর্বে আমাকে সমর্থন দেয়া হয়েছিল। ওই সময়ে আমার নির্বাচন কর্মকাণ্ড দেখে দল সন্তোষ হয়েছে । এবারো আমি আশাবাদী।
তিনি বলেন, দল যাকে প্রার্থী করবে শুধু আমি একা নয়, আমরা সবাই মিলিতভাবে এই নির্বাচনে ওই প্রার্থীর জন্য কাজ করব।
ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমি অবিভক্ত ঢাকা নগর থাকতেই মেয়র পদে নির্বাচন করতে আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম। ঢাকা বিভক্ত হওয়ার পরও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে আমার বরাবরই আগ্রহ ছিলো বলেই এবার আমি দলীয় মনোনয়নের জন্য ফরম কিনেছি।
তিনি বলেন, আমার লেখা-পড়া, আমরা অভিজ্ঞতা, আমরা সাংগঠনিক পরিচয়-যোগ্যতা-সাহস-ত্যাগ-তীতিক্ষা সব কিছুই মিলে আমারা পার্টি বিবেচনা করবেন-এটাই আমরা দৃঢ় প্রত্যাশা।
মেজর (অব,) আখতারুজ্জামান বলেন, আমি মনে করি, ২০১৮ সাল পরিবর্তনের বছর। পরিবর্তন হবেই। এই পরিবর্তন হবে জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে। সেজন্য আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ফরম কিনেছি।
চূড়ান্ত মনোনয়ন না পেলে কি করবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, একশ ভাগ যিনি পাবেন আমি তার পক্ষে কাজ করব। ম্যাডামের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
শাকিল ওয়াহেদ বলেন, আমি ঢাকা উত্তরকে বিশ্বমানের নগরীতে পরিণত করতে এই নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়েছি। আমার যোগ্যতা, দলের প্রতি আমার দীর্ঘদিনের কমিটেমেন্ট-অভিজ্ঞতা ইত্যাদির মান বিবেচনা করে আমার ধারনা আমার সম্ভাবনা ভালোই।
বিদেশে থাকা এম এ কাইয়ুমের পক্ষে উত্তরের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুল বাসিত আনজু ও এ জি এম শামসুল হক সাংবাদিকদের কাছে কোনো কথা বলেননি। শুধু নেতা-কর্মীদের নিয়ে তারা বিজয় চিহ্ন ‘ভি’ দেখান।
আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য এই মেয়র পদে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে আনিসুল হক বিজয়ী হয়েছিলেন।
যারা মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তারা হলেন— দলের বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সহ-প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদ সুমন, গতবারের দলীয় মেয়র প্রার্থী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান এবং মহানগর উত্তরের সভাপতি এম এ কাইয়ুম।
রোববার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে প্রার্থীরা দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। সকাল সোয়া ১১টায় প্রথম ফরম কিনেন শাকিল ওয়াহেদ এবং এরপর আখতারুজ্জামান। ঢাকা উত্তরের সভাপতি এম এ কাইয়ুমের পক্ষে মনোনয়নপত্র কেনেন তার প্রতিনিধি উত্তরের সিনিয়র সহসভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ জি এম শামসুল হক।
উল্লেখ্য, ইতালীয় নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যা মামলার আসামি হচ্ছেন এম এ কাইয়ুম। এছাড়া দলের বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপনও মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এ সময়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী জানান, সোমবার নয়াপল্টনের কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম ২৫ হাজার টাকা জামানতসহ জমা নেয়া হয় বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাত্কার নেয়া হবে। স্থায়ী কমিটির সদস্যরাই এই মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তারাই এই সাক্ষাত্কার গ্রহণ করবেন।
রিজভী বলেন, মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই করে একজন প্রার্থীকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেবেন এবং তার নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন। আমরা আশা করছি, মনোনয়ন বোর্ডের সাক্ষাত্কারের পর সেদিনই (সোমবার) চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করা হবে।
দুপুরে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে তাবিথ আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, আমি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মনোনয়ন ফরম কিনেছি। আমি আশাবাদী বিএনপির মনোনয়ন আমি পাব। কারণ এই নির্বাচনের প্রথম পর্বে আমাকে সমর্থন দেয়া হয়েছিল। ওই সময়ে আমার নির্বাচন কর্মকাণ্ড দেখে দল সন্তোষ হয়েছে । এবারো আমি আশাবাদী।
তিনি বলেন, দল যাকে প্রার্থী করবে শুধু আমি একা নয়, আমরা সবাই মিলিতভাবে এই নির্বাচনে ওই প্রার্থীর জন্য কাজ করব।
ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমি অবিভক্ত ঢাকা নগর থাকতেই মেয়র পদে নির্বাচন করতে আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম। ঢাকা বিভক্ত হওয়ার পরও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে আমার বরাবরই আগ্রহ ছিলো বলেই এবার আমি দলীয় মনোনয়নের জন্য ফরম কিনেছি।
তিনি বলেন, আমার লেখা-পড়া, আমরা অভিজ্ঞতা, আমরা সাংগঠনিক পরিচয়-যোগ্যতা-সাহস-ত্যাগ-তীতিক্ষা সব কিছুই মিলে আমারা পার্টি বিবেচনা করবেন-এটাই আমরা দৃঢ় প্রত্যাশা।
মেজর (অব,) আখতারুজ্জামান বলেন, আমি মনে করি, ২০১৮ সাল পরিবর্তনের বছর। পরিবর্তন হবেই। এই পরিবর্তন হবে জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে। সেজন্য আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ফরম কিনেছি।
চূড়ান্ত মনোনয়ন না পেলে কি করবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, একশ ভাগ যিনি পাবেন আমি তার পক্ষে কাজ করব। ম্যাডামের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
শাকিল ওয়াহেদ বলেন, আমি ঢাকা উত্তরকে বিশ্বমানের নগরীতে পরিণত করতে এই নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়েছি। আমার যোগ্যতা, দলের প্রতি আমার দীর্ঘদিনের কমিটেমেন্ট-অভিজ্ঞতা ইত্যাদির মান বিবেচনা করে আমার ধারনা আমার সম্ভাবনা ভালোই।
বিদেশে থাকা এম এ কাইয়ুমের পক্ষে উত্তরের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুল বাসিত আনজু ও এ জি এম শামসুল হক সাংবাদিকদের কাছে কোনো কথা বলেননি। শুধু নেতা-কর্মীদের নিয়ে তারা বিজয় চিহ্ন ‘ভি’ দেখান।
আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য এই মেয়র পদে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে আনিসুল হক বিজয়ী হয়েছিলেন।