বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট এখন মিডিয়ায় আছে, মাঠে নেই: ওবায়দুল কাদের
![]() |
বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট এখন মিডিয়ায় আছে, মাঠে নেই ওবায়দুল কাদের। ছবি tmnews |
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের রাজনীতি মিডিয়ায় আছে, ভোটের মাঠে নেই। তারা কিছু হলেই মিডিয়া ও সাংবাদিকদের দারস্থ হয়। জনসমর্থন নেই বলে তারা ভোটের মাঠে যেতে পারছে না।
শনিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী তার নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) কবিরহাটের নবগ্রাম বাজারে এক নির্বাচনী পথসভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সম্পর্কে বলেন, মওদুদ সাহেব বলেছিলেন এক মাসের মধ্যে রাজনীতি চেহারা বদলে যাবে। কিন্তু এখন আমরা কী দেখতেছি। কই কোনো চেহারাই তো বদল হলো না। মানুষ এখন ভোটের আমেজে আছে, ভোট উৎসবের অপেক্ষা আছে।
মন্ত্রী বলেন, দলমত-নির্বিশেষে আমার ১২ বছরের মন্ত্রিত্ব। আর মওদুদ সাহেব ২২ বছর মন্ত্রী ছিলেন। কই কোনো উন্নয়ন আছে তার? তার আমলে বিদ্যুৎ ছিল না। ছিল শুধু খাম্বা আর খাম্বা। তারা দলীয় করণেই ব্যস্ত ছিলেন। দলের লোক ছাড়া অন্য কারো জন্য কোনো উন্নয়ন করেনি। অন্যদিকে আমরা দলের বাইরেও সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্নয়ন করেছি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির লোকজন শীতের অতিথির মতো। এরা শীত আসলে আসে, শীত শেষে চলে যায়। ভোটের মাঠে এখন হাস্যরসে পরিণত হয়েছে, ধানের শীষেও এখন বিষে পরিণত হয়েছে।
মন্ত্রী তার নিজ এলাকার উন্নয়ন বিষয়ে পথসভায় উপস্থিত ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, সব দলের কাছে বলতে চাই, আমরা দলীয় লোক দিয়ে নয়। নোয়খালী খালের কাজ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের সময়ে নোয়াখালীর অধিকাংশ এলাকায় শতভাগ বিদ্যুৎ পেয়েছে। সড়কের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। নোয়াখালীতে দুই ফোরলেনের কাজ চলমান রয়েছে। আগামীতে আরও বড় রড় উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। যার সুফল সকল দলের লোকজন ভোগ করবে।
শেষে মন্ত্রী বলেন, নৌকা বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, স্বাধীনতার ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক। এই বিজয়ের মাসে নৌকার জয় হবেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হানসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।