Header Ads

অসহায়দের পাশে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ভলান্টিয়ার্স ক্লাব



মামুনুর রশিদ রাজিব : সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে চলেছে আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র। এগিয়ে চলেছে বিশ্বসভ্যতা। আর সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে মানুষের ব্যস্ততা। কেউ কেউ হয়তো সমাজের অন্য সবার কথা তো দূরের কথা, আপন লোকজনের খোঁজটুকুও রাখতে পারেন না ব্যস্ততার কারণে বা অজুহাতে। আবার অনেকেই আছেন যারা শত ব্যস্ততার মাঝেও নিঃস্বার্থভাবে  চেষ্টা করে যান সময়ের প্রয়োজনে সমাজের পাশে দাঁড়াতে। আর এমনি কিছু নিঃস্বার্থ মানুষের সংগঠনস্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ভলান্টিয়ার্স ক্লাব


২০১২ সাল থেকে পথচলা ক্লাবটি কখনো ফুল বিক্রি করে পথশিশুদের স্কুলে আর্থিক সাহায্যের জন্য, কখনোবা শীতবস্ত্র বিতরণ কিংবা বিভিন্ন দুর্যোগে আক্রান্ত অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে যান যথাসাধ্য মানবিক সাহায্য নিয়ে। এছাড়াও ক্লাবটি করে চলেছেক্লিন ক্যাম্পাস ক্লিন মাইন্ডএর মতো ইভেন্ট আয়োজন, আত্মহত্যাবিরোধী সচেতনতামূলক মানববন্ধন, অসহায় শিশুদের নিয়ে ইফতার আয়োজন, বিভিন্ন দিবসকে সামনে রেখে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন প্রকার সমাজ সচেতনতামূলক কার্যক্রম।




এই পৃথিবীতে অনেক উদাহরণ আছে যেখানে দারিদ্রতা এবং অসহায়ত্বের পরিমণ্ডলে জন্ম নিয়েও অনেকে জীবনের এক পর্যায়ে এসে ইতিহাসের পাতায় সফল ব্যক্তিত্ব হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। ক্লাবটির সদস্যরা বিশ্বাস করেনআমাদের দেশের এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝ থেকেও একদিন বেড়িয়ে আসবে আদর্শ ব্যক্তিত্ব

ক্লাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে ক্লাবটির কো-অর্ডিনেটর মৃত্যুঞ্জয় আচার্য্যি বলেন, ‘আমাদের ক্লাবটির নাম হচ্ছে ভলান্টিয়ার্স বা স্বেচ্ছাসেবক ক্লাব। আর সেচ্ছাসেবক তারাই, যারা যুগ যুগ ধরে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যায় মাটি, মানুষ এবং দেশের জন্য। যার প্রমাণ, আমাদের ক্লাবের সদস্যদের বিভিন্ন মহৎ উদ্যোগ।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ক্লাবের সদস্যরা বিশ্বাস করে- পথের পাশে পড়ে থাকা অসহায় শিশুসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটতে দেখলে জীবনের যেই স্বার্থকতার সন্ধান মেলে তা সত্যই চোখে জল এনে দেয়।’

এছাড়া ক্লাবের নতুন প্রেসিডেন্ট স্নেহাশীষ মাহাতা সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই সমাজের সকল মানুষের সুন্দর পরিবেশে সুন্দরভাবে বাঁচার অধিকার আছে। আর সেই অধিকার নিশ্চিত করতেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় অতীত এবং বর্তমানের মতো এমন ভালো কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ভলান্টিয়ার্স ক্লাব এগিয়ে যেতে চায় সোনালী ভবিষ্যতের পথে।



Blogger দ্বারা পরিচালিত.