Header Ads

পটুয়াখালীতে হাত-পা বেধে শিশু নির্যাতন


পুলিশ উদ্ধার করার সময় মোবাইলে তোলা ছবি
এসপির নির্দেশে মামলা হলেও আটক হয়নি অভিযুক্তরা পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীতে সন্দেহের জেরে রেজাউল হাওলাদার (১৭) নামে এক শিশুকে হাত-পা বেধে নির্যাতনের ঘটনায় এসপির নির্দেশে থানায় মামলা হলেও গ্রেফতার করা হয়নি কোন অভিযুক্তকে। এমনকি হাত-পা বাধা অবস্থায় পুলিশের এক এএসআই ওই শিশুটিকে উদ্ধার করলেও মামলার বিবরন হয়েছে গদবাঁধা। আহত রেজাউল বর্তমানের পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের বি-১০ বেডে চিকিৎসাধিন রয়েছে। সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামের বাসিন্দা বশির হাওলাদারের পুত্র রেজাউল।

আহত রেজাউলের পরিবার ও ঘটনা সুত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মে পটুয়াখালী জেলা ও বাউফল উপজেলার সীমানা সংলগ্ন কাশিপুর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন রাজা(২২)কে ইয়াবাসহ আটক করে পটুয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশ। এঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের ওসি জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে রাজাকে জেল হাজতে পাঠায়। কিন্তু রাজার ধারনা গত ৩১ মে তাকে রেজাউল ও তার পরিবার পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। এর রেষ ধরে জেল থেকে বেড় হয়ে রাজা ও তার সহযোগীদের নিয়ে রেজাউলকে ৩১ আগষ্ট কাশিপুর বাজার নিয়ে যায়।পাশ^বর্তী একটি সোনক্ষেতে নিয়ে গাছের সাথে হাত-পা বেধে ব্যাপক মারধোর করে রেজাইলকে ফেলে রেখে যায়। রাতে প্রতিবেশি রশিদ সিকদার স্থানীয় একটি মসজিদে নামাজ পরতে গেলে রেজাউলের কান্না শুনতে পেয়ে তার হাতে থাকা টর্স লাইট দিয়ে ওই দৃশ্য দেখতে পায়। পরে তিনি রেজাউলের পরিবার ও পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়। সদর থানা পুলিশের এএসআই ওয়াসিম ঘটনাস্থলে গিয়ে রেজাউলকে উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থলটি বাউফল সীমানা অর্ন্তবর্তী হওয়ায় রেজাউলের পরিবারকে বাউফল থানায় গিয়ে আইনী সহায়তা চাওয়া পরামর্শ দেয় পুলিশের ওই এএসআই। এএসআই ওয়াসিমের সাথেও কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। ওই রাতেই আহত রেজাউলকে বাউফল স্বাস্থ্য কম্পেøক্সে ভর্তি করা হয় এবং বাউফল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু বাউফল থানার পুলিশ পারিবারিক বিষয় বলে তাদের প্রথমে চিকিৎসা নিতে বলেন। এদিকে রেজাউলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় বাউফল স্বাস্থ্যকম্পেøক্স পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ এঘটনায় কোন ব্যবস্থায় না নিয়ে আহত পরিবারকে পারিপারিক ঝামেলা বলে বিদায় করে দেয়। পরে ০৪ সেপ্টেম্বর আহত পরিবার পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে ঘটনার বিবরন দিলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ দুই জনকে আসামী করে মামলা নেয়। কিন্তু মামলা রেকর্ড হলেও মামলার বিবরনে ঘটনার মুল বিষয় বস্তু এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবী আহতদের। এছাড়াও ঘটনার দিন প্রথমবার পুলিশ কাছে দাখিল করা অভিযোগটি থানায় পাওয়া যায়নি। এদিকে মামলা হলেও আসামীরা এখন প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুড়ের বেড়ানোর কারনে বাদীর পরিবারের মধ্য ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে মামলা না নেওয়া এবং আসামীরা আইনের আওতায় না আসা নিয়ে বাদী এলাকাবাসীর মধ্য ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী অফিসার মলয় কৃষ্ণ দে এ প্রসঙ্গে জানান, কয়েকবার আসামীদের আটক করার জন্য এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। বর্তমানে আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.