ভারতের পতাকা ছেঁড়া সেই কিশোর আসলে হিন্দু!
![]() |
পতাকা ছিঁড়ছে সেই কিশোর (বামে), জনতা মারপিট করছে তাকে (ডানে)। ছবি: টুইটার থেকে |
আসল রহস্য বেরিয়ে এসেছে।
ঘটনাটি নিয়ে ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বেধে যাওয়াটা একেবারেই অস্বাভাবিক ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের ক্ষোভ তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। তবে তার আগেই পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এলো আসল ঘটনা। ‘পাক্কা মুসলমান হুঁ’ বলতে বলতে ভারতের জাতীয় পতাকা ছেড়া কিশোর আসলে হিন্দু।
কিছুদিন আগে দু'টি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন ফেলে।একটি ভিডিওতে দেখা যায় ‘পাক্কা মুসলমান হুঁ’ বলতে বলতে ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ছে এক কিশোর। পরে আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় জনতা ওই কিশোরকে মারধর করে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলিয়ে নিচ্ছে।
কিন্তু পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ওই কিশোর আসলে মুসলমান নয়, হিন্দু।
স্বাধীনতা দিবসের কয়েক দিন পরে প্রথম ভিডিওটি পোস্ট হয়। তাতে দেখা যায়, একটি ঘরের মধ্যে ওই কিশোর পতাকা ছিড়ছে। শেষে বলছে, ‘পাক্কা মুসলমান হুঁ’। টুইটারে ওই ভিডিও পোস্ট হওয়ার পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। প্রায় ২০ হাজার রিটুইটে নানা রকম জাতি হিংসামূলক মন্তব্য করেন নেটিজেনরা। তার দু’-তিন দিনের মধ্যেই সামনে আসে অন্য একটি ভিডিও। তাতে আবার ওই কিশোরকে মারধর করছেন কয়েকজন যুবক। তাকে দিয়ে ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘পাক্কা হিন্দু হুঁ’ বলানো হচ্ছে।
কিন্তু এই কিশোরের আসল পরিচয় উঠে এসেছে পুলিশি তদন্তে। জানা যায় ঘটনাটি গুজরাতের সুরাত এলাকার। ভিডিও দু’টি নিয়ে শোরগোলের পরই পুলিশে জানান এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ ওই কিশোর এবং আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানা যায়, ওই কিশোর আসলে হিন্দু। ছোটখাট অনুষ্ঠানে কৌতুকাভিনয় করে। ওই ভিডিও মজার ছলেই করা হয়েছিল বলে জানায় ধৃত দুই কিশোর। পুলিশ দু’জনকেই সাবধান করে ছেড়ে দেয়। যদিও নিরাপত্তার স্বার্থে ওই দুই কিশোরের নাম প্রকাশ করতে চায়নি পুলিশ।
বিষয়টি প্রকাশ পেতে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এমন ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। কারণ, এমন ছোট-খাটো মজা থেকে দেশব্যাপী অনেক বড় সহিংসতা তৈরি হতে পারে। এমনকি পুলিশ তদন্তে আরেকটু দেরি করলে তেমন কোন পরিস্থিতি হওয়াটা অস্বাভাবিক ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের তীব্র প্রতিক্রিয়া তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিল।
বিষয়টি প্রকাশ পেতে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এমন ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। কারণ, এমন ছোট-খাটো মজা থেকে দেশব্যাপী অনেক বড় সহিংসতা তৈরি হতে পারে। এমনকি পুলিশ তদন্তে আরেকটু দেরি করলে তেমন কোন পরিস্থিতি হওয়াটা অস্বাভাবিক ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের তীব্র প্রতিক্রিয়া তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিল।
জানা গেছে, প্রথম ভিডিওটি পোস্ট হয় রোহিত সারদানা নামে একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলের এক সাংবাদিকের টুইটার হ্যান্ডলে। যদিও সেই অ্যাকাউন্ট তাঁর নিজের নামে নয়, ‘অনুমিশ্রবিজেপি’ নামে। সেই অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার রয়েছেন কয়েকজন বিজেপি নেতাও।