পটুয়াখালী বরগুনা যাত্রীসাধারণের ভোগান্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট অব্যাহত।
বুধবার ভোর থেকে পটুয়াখালী বরিশাল-বরগুনা জেলার ১৭টি রুটে পরিবহন ধর্মঘট চলাকালে পটুয়াখালী কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে কোন ধরনের যাত্রীবাহী বাস চলাচল করেনি। বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকটা মহাসড়কে পরিবহন ধর্মঘটের কারনে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রী সাধারন। বরিশাল-পটুয়াখালী-বরগুনা বাস মালিক শ্রমকি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন জানান, মির্জাগঞ্জের চান্দখালী নামক স্থানে অবৈধ বাস মালিক সমিতির নামে কতিপয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে বৈধ রুট পারমিটের গাড়ী চলাচলে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিস্ট প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়াও সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবী সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ধর্মঘটের কর্মসূচী দিতে বাধ্য হয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নিলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে। পটুয়াখালী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক গোলাম মাওলা দুলু ও নির্বাহী সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, বরিশাল-পটুয়াখালী-বরগুনা বাস মালিক শ্রমকি সমন্বয় পরিষদের সিদ্ধান্তে তিন জেলার ১৭টি রুটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। তারা বলেন, বরিশাল-বাকেরগঞ্জ-সুবিদখালী-বরগুনা ও বরিশাল- ঝালকাঠী মহাসড়কে বাস চলাচলে চাঁদাবাজী বন্ধসহ অবৈধ সমিতির কার্যক্রম বন্ধ করে সড়ক পরিবহন আইন ও মটরস যান অধ্যাদেশ রুট পার্মিটের যাত্রীবাহি বাস নিরাপদে চলাচলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ চাঁদাবাজী বন্ধের জন্য সংশ্লিস্ট প্রশাসনদেরকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন কর্মসূচীও পালন করা হয়েছে কিন্তু কোন সুফল না হওয়ায় আমরা ধর্মঘট কর্মসূচী দিতে বাধ্য হযেছি। অবৈধ সমিতির কার্যক্রম ও চাদাবাজী বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ১৭টি রুটে ধর্মঘট চলবে। এ ১৭টি রুটে তিন জেলার প্রায় চারশত রুট পারমিটের যাত্রবাহী বাস চলাচল করে। এ সব পরিবহন সবই বন্ধ রয়েছে বললেন পটুয়াখালী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক গোলাম মাওলা দুলু ।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ সরকার চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে আমরা ভোগান্তিতে পড়ে প্রায়ই দেখা যায় যাত্রীদের দোষ না থাকা শর্তেও যাত্রীরা হয়রানির শিকার হতে থাকে এর জন্য একটি নীতিমালার প্রয়োজন আমরা মনে করি।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ সরকার চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে আমরা ভোগান্তিতে পড়ে প্রায়ই দেখা যায় যাত্রীদের দোষ না থাকা শর্তেও যাত্রীরা হয়রানির শিকার হতে থাকে এর জন্য একটি নীতিমালার প্রয়োজন আমরা মনে করি।

