পটুয়াখালীতে RAB- 8 প্রধান,DGFI মেজর ও সাংবাদিক পরিচয়ে অপহরন ও চাঁদাবাজি। আতংকিত মালিক শ্রমিক!!
জলিলুর রহমান সোহেল
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
পটুয়াখালী গলাচিপা থানার চরকাজল
বড়শিবা ৭নং অবস্থিত নবনির্মিত ভাই,ভাই ইটভাটায় গত ২৫/০১/১৮ ইং তারিখ
সন্ধা ৭ টার সময় ভূয়া - (RAB-8) ও সাংবাদিক পরিচয় চাঁদাবাজির খবর পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যে
কয়টি আইন সৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে তার মধ্যো RAB ইতিমধ্য স্বস্ব কর্মদক্ষতায়
সর্বমহলে প্রসংশা কুড়িয়ে নিজেদের-কে গনআস্থার দৃশ্যত পরিবর্তনে সক্ষম হয়েছে। এটাই প্রথম নয় সৃঙ্খখলা
বাহিনী ও গনমাধ্যমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে
একধরনের চরমপন্থিরা উঠেপড়ে লেগেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ ঘটনাটি ঘটে। সরেজমিন প্রতিবেদনে এই অপহরন ও চাঁদাবাজি ঘটনার সত্যতা প্রকাশে ইট ভাটামালিক ও স্থানীয় জনগনের কাছে জানতে চাইলে তরা প্রতিবেদক'কে জানান
অজানা সব তথ্য। ইট ভাটামালিক চরকাজল ৭নং বড়শিবার মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম (২৯) পিতাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম
বলেন পটুয়াখালী জেলার দীপাঞ্চঁল রিমোট এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন ও জনগনের চাহিদার কথা চিন্তাকরে কোটি টাকা বেয়ের ভাই,ভাই ইট ভাটাটি ৪ সদস্য বিশিষ্ট যৌথ অংশিদারিত্বে
দৃশ্যত নির্মানের শেষ ভাগে। পাশাপাশি সরকারি অনুমতির বিভিন্ন বিভাগের ছাড়পত্রের কর্য্যক্রম চলমান। একক অংশীদারিত্বে কোটি টাকা ব্যায়ের এই প্রতিষ্ঠান গড়তে অন্তরায়ের প্রেক্ষিতে আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যৌথ অংশীদারিত্বের সিদ্ধান্ত গ্রহন করি। চাঁদাবাজির ঘটনায় অপহরনের শিকার ইটভাটায় ম্যানেজার পদে কর্মরত ভোলা জেলা চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর মাদ্রাজের স্থানীয় মৃতঃ মাওলানা নুর উদ্দিনের ছেলে এস,এম মাহাবুব আলম শাহিন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রতিবেদক'কে জানান। ঘটনার দিন গত ২৫/০১/১৮ ইং
তারিখ সন্ধা ৭ টার সময় চাঁদাবাজ ও অপহরন করিদের ৫ সদস্য বিশিষ্ট ভূয়া -RAB ও সাংবাদিক ট্রলার যোগে ইটভাটা
সংলগ্ন বড়শিবা মান্নান ভূঁইয়া স্লূইজ
বাজার অবস্থান নেয় এবং ঘটনার
প্রত্যক্ষদর্শী স্লূইজ বাজারস্থ আবুল খায়ের
মুন্সী চায়ের দোকানে আমি অবস্থানরত অবস্থায় হঠাৎ করে অপরিচিত লোক মারফত ইটভাটা সংলগ্ন নদীর পারে ডেকে
নিয়ে যায়। আমাকে কাছে পেয়ে চাঁদাবাজরা ইটভাটা তৈরীর সরকারি অনুৃমোধনের কাগজ পত্র দেখতে চায়। আমি তাদের পরিচয় জানতে চাইলে চাঁদাবাজ চরমপন্থিরা পটুয়াখালী জেলার RAB- 8 ও সাংবাদিক পরিচয় দেয়। পাশাপাশি আমাকে অসালিন ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। আমি উপায় না পেয়ে আমার ইট ভাটামালিক মোঃ মঞ্জুরুল ইসলামকে ফোনদিয়ে
চাঁদাবাজদের ভেতরে RAB এর মেজর পরিচয় কারি মোঃ খন্দকার আল-মামুন মিথুনকে মোবাইল ফোনে ধরিয়ে দেই। তাদের আলোচনার এক পর্যায় মেজর আমার মালিকের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা
চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় ইটভাটা বন্ধ সহ আমাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।
মালিক মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এতে করে চাঁদাবাজরা উত্তেজিত হয়ে তাদের কাছে থাকা হাতকড়া পড়িয়ে দেশিও অস্রের মুখে
জিম্মি করে মারতে মারতে ট্রলারে নিয়ে যায়। আমাকে নিয়ে ট্রলার ছেড়ে দেয়।
আমার কাছে গচ্ছিত ইটভাটায় কর্মরত শ্রমীকদের সাপ্তাহিক,মাসিক ও পরিবহন খরচ বাবদ ৪ লক্ষ টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। আমি প্রানভিক্ষা চাইলে, সাংবাদিক পরিচয় ধারি রিপন সর্দার ট্রলার ভাড়া বাবদ ২০ হাজার টাকা দাবি করে নইলে পানিতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়। এ সময় ট্রলারে তাদের সাথে থাকা স্থানীয় চাঁদাবাজ চুন্নু ভূঁইয়া নাটকিও ভাবে ১১ হাজার টাকা ট্রলার ভাড়া দিয়ে দিলাম বলে আমাকে জানায়। টাকাটা পরে তাকে ফরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে যায়। আমার প্রবল মিনতিতে চাঁদাবাজরা অচেতন অবস্থায় নদীপাড়ে ফেলে রেখে চলেযায়।এখানেই শেষ নয়, আমাকে খুজতে গোটা গ্রামের লোকজন বেড়িয়ে পড়ে। পরিশেষে আমাকে অচেতন অবস্থায় নদীপাড় থেকে উদ্ধার করে।
ইটভাটা মালি ও স্থানীয় জনগন আরো বলেন। এঘটনাটি তাৎক্ষনিক গলাচিপা থানা পুলিশ ও পটুয়াখালী জেলার RAB কমান্ডার বরাবর অবহিত করলে তিনি সাফ জানান, (মেজর) মোঃ খন্দকার আল মামুন ওরফে (মিথুন) পরিচয়ে পটুয়াখালীতে কোন RAB সদস্য নেই। পরের দিন ২৮/০১/১৮ ইং তারিখ গলাচিপা থানার এস,আই-আনোয়ার
ও পটুয়াখালী RAB-8 এর পক্ষে দু-জন তদন্ত অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বেপারে মোকাম গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রানে বেচেঁ যাওয়া ইটভাটার ম্যানেজার এস,এম মাহবুব আলম শাহীন বাদী হয়ে, গত ২৯/০১/১৮ ইং তারিখ দন্ডবিধির ৪২০/৪৭১/৪৬৭/৪৬৮/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/৩৪ ধারা মোতাবেক, খন্দকার আল মামুন পিতাঃ অজ্ঞাত সাং কালিয়া থানা কালিয়া জেলা নড়াইল, মোবাইল নং ০১৯১১১২১৪০২,০১৭১৪৪৯২৪৬৫। মোঃ রিপন সরদার পিতা মৃত খোকা সরদার সাং দাসপাড়া সরদার বাড়ি থানা বাউফল জেলা পটুয়াখালী মোবাইল নং ০১৭২৫৬০৯৯৯৬। মোঃ চুন্নু ভূঁইয়া পিতা আঃ মান্নান ভূঁইয়া সাং বড়শিবা ৭ নং ওয়ার্ড থানা গলাচিপা জেলা পটুয়াখালী মোবাইলঃ ০১৭১৬৩৫০৬৪১। মোঃ সবুজ পিতাঃ আলমগীর সরদার সাং বড়শিবা, ৭নং ওয়ার্ড থানা গলাচিপা জেলা পটুয়াখালী সহ-আরো অজ্ঞাত ১ জনকে আসামি করে একটি সি.আর.মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৮৯/১৮। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিজ্ঞ আদালত পটুয়াখালী P.B.I কে তদন্ত করার অনুমতি প্রদান করেন। বাদী আরো জানান মামলাটি দায়ের করার পরথেকেই চরমপন্থিরা আমার ইটভাটার মালিক মোঃ মঞ্জুরুল ইসলামকে মামলা তুলেনিতে মোবাইল ফোনে প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে। এতে মালিক প্রাননাশের ভয়ে ফৌজদারি কায্যবিধির ১০৭/১১৪/১১৭ মোতাবেক উপরে উল্লেক্ষিত সকলকে আসামি করে অদ্য ০৬/০২/১৮ ইং তারিখ মোকাম পটুয়াখালী বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি ৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন।