অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা রাজনৈতিক কালিমালিপ্ত আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
![]() |
tmnews24 |
‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা রাজনৈতিক কালিমালিপ্ত’ বলে যুক্তি উপস্থাপনের সময় আদালতকে বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
প্রতিনিধি ইমদাদুল হক লিটন
বৃহস্পতিবার এ মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে পঞ্চম দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার মাহবুব আদালতকে বলেন, জিয়া অরফানেজের টাকা তছরুপ হওয়ার কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। জিয়া অরফানেজের টাকা কুয়েতের আমির পাঠিয়েছিলেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সেই টাকা এনেছিলেন। ওই টাকা জিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টে গিয়েছিল। অথচ সেখানে কোনো মামলা হয়নি।
শুনানির সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী আরও বলেন, ‘এ মামলায় রাজনৈতিক গন্ধ আছে। মামলা রাজনৈতিক কালিমালিপ্ত।’
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক শুরু হয়।
মাহবুব ছাড়াও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সানাউল্লাহ মিয়াসহ খালেদা জিয়ার অর্ধশতাধিক আইনজীবী আদালতে উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে দুর্নীতির এ মামলায় যুক্তিতর্কে অংশ নিতে আদালতে হাজির হন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বুধবার চতুর্থ দিনের মতো খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাইয়ে রাজধানীর রমনা থানায় প্রথম মামলাটি করা হয়। অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দ্বিতীয় মামলাটিও করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন- খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ
ছয়জন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এর মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন খালেদা জিয়াসহ চারজন।