![]() |
ইরানের মাশহাদ শহরের রাস্তায় হাজারো মানুষ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে tmnews24 |
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ইরান। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেকারত্ব ও দেশটিতে চলমান অর্থনৈতিক অসমতার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার থেকে এই বিক্ষোভ শুরু। রাজধানী তেহরান, কারমানশাহ ও মাশহাদ শহরের রাস্তায় নেমে হাজারো মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি, রয়টার্স, আজ-জাজিরা ও বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির বিরুদ্ধেও স্লোগান দিয়েছে। সরকারবিরোধী স্লোগান ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে মাশহাদ শহর থেকে ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাশহাদে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা ধীরে ধীরে অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তারে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারবিরোধীদের প্রতি ইরানের কর্তৃপক্ষ কী আচরণ করছে তা পুরো বিশ্ব দেখছে। দুর্নীতি ও দেশের সম্পদের অপব্যবহারের কারণে দেশটির সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। আর এ কারণেই বিক্ষোভ করছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ইরানে দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়েছে। ডিমের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি স্বীকার করে ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইশাক জাহাঙ্গিরি বলেন, কিছু জিনিসপত্রের দাম সত্যিই বেড়েছে। তবে তা সামাল দিতে কাজ করছে সরকার।
ইশাক জাহাঙ্গিরি বলেন, জনগণ বিক্ষোভের নামে সরকারের ক্ষতি করছে। তাদের কেউ উসকে দিয়েছে।
তেহরানের ডেপুটি গভর্নর জেনারেল মোহসেন হেমাদানি বলেন, সরকারবিরোধী বিক্ষোভের উদ্দেশ্যে রাজধানীর সিটি স্কয়ারে প্রায় ৫০ জনের মতো মানুষ জড়ো হয়েছিল। তাদের ফিরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু না শোনায় সেখান থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা অপপ্রচারের কারণে প্রভাবিত হয়েই এই বিক্ষোভ করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আগস্টে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, মুদ্রাস্ফীতির হার ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, দেশে বেকারত্বের হার গত বছর ১২ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষক আদনান তাবাতাবায়ি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, আর্থসামাজিক অসমতার কারণেই মানুষ বিক্ষোভ করছে। এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই।