Header Ads

উদ্যোগ পৌর মেয়রকে আদালতের শোকজ

বাহাদুর শাহ পার্ক নয়, পার্কিং
নাটোরে পার্কে বিপনী বিতান নির্মাণ উদ্যোগ পৌর মেয়রকে আদালতের শোকজ

পার্কের ভিতর সারি সারি মোটর সাইকেল। কিছু কিছু স্থানে রয়েছে সাইকেল। অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা একপাশ দখল করে চলছে চায়ের রমরমা ব্যবসা। যে যার মতো চালিয়ে যাচ্ছেন ধুমপান সেবন। পার্কের ভিতর একের পর এক ঢুকছে মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলের কারনে তিল ধারনের ঠাই নেই পার্কটিতে। পায়ে হেটেও পার্কে প্রবেশ করা দুরহ ব্যাপার। প্রতিদিন সকালে পার্কে গেলেই  এমন সব কর্মকান্ড চোখে পড়বে হরহামেশেই। দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এটি বাহাদুর শাহ পার্ক, না মোটরসাইকেল পার্কি। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সরেজমিনে গিয়ে এমন সব দৃশ্য চোখে পড়ে। সম্প্রতি বাহাদুর শাহ পার্কে নাটোর পৌরসভার মার্কেট নির্মাণ করা নিয়ে আলোচনায় আসে পার্কটি।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৫৭ সালে শহরবাসীর চিত্ত বিনোদনের জন্য বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব বাহদুর শাহ্ এর নামে শহরের পিলখানা রোডে একটি পার্ক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু স্থানীয়দের দখল প্রক্রিয়া আর ২০০১ সালের দিকে তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ওই পার্কের কিছু অংশে কয়েকটি টয়লেট ও কয়েকটি দোকান বিশিষ্ট একটি তিনতলা মার্কেট তৈরি করে পার্কের পরিবেশ নষ্টের কাজ শুরু করেন। এরপর থেকেই পার্কটি চিত্ত বিনোদনের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ে। বর্তমান মেয়র উমা চৌধুরী জলি বাহাদুর শাহ পার্কের ভিতরে ৯৩ লাখ টাকা ব্যায়ে  ২১ টি দোকান বিশিষ্ট একটি বিপণী বিতান নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে ১৬ অক্টোবর ই-টেন্ডার আহবান করেন। এরপর থেকেই আলোচনায় আসে পার্কটি নিয়ে।
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি নাটোর জেলা শাখার সভাপতি নিরেন্দ্র নাথ কর্মকার জানান, এই রকম একটা কমার্শিয়াল জায়গায় পার্কের পরিবর্তে মার্কেট ভবন নির্মাণ অতীব জরুরী। এই পার্ক টি মূলত মাদক সেবীদের আখড়া হওয়ায় জুয়েলারী দোকানগুলোতে ডাকাতিসহ নানা অপরাধ সংঘটনের আতঙ্কে থেকে ব্যবসা করতে হচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ীদের। একই কারনে সাধারন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের কাছে জায়গাটি মোটেও নিরাপাদ নয়। আমরা মঙ্গলবার রাতে নিচাবাজারস্থ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে এখানকার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সাথে মতবিনিময় করেছি বলে জানান তিনি।
নাটোর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানায়, তৎকালীন নাটোর পৌরসভার চেয়ারম্যান এ্যাড. কামরুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহনের পর বাহাদুর শাহ পার্কটিকে মার্কেট নির্মাণ করে। সে সময় পার্কেল জায়গায় মার্কেঠ নির্মান করা হলেও কেউ প্রতিবাদ করেনি। বাহাদুর শাহ পার্ক টি মূলত স্বর্ণকার পট্টির পেটের ভেতরে হওয়ায় এটা পার্ক নয়, মোটর সাইকেল পার্কিংয়ের জন্য বেশি ব্যবহার হচ্ছে। পার্কের মধ্যে রয়েছে ১৪টি পান, সিগারেট ও চায়ের দোকান। আর পার্কের পুরোটা জায়গা জুড়ে দেখা যায় সারি সারি মোটর সাইকেল। এছাড়া স্বর্ণপট্টির বিষাক্ত এসিডের ব্যবহার এখানকার পরিবেশ সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর।

নাটোরে পার্কে বিপনী বিতান নির্মাণ উদ্যোগ .মেয়র শোকজ.............

শহরে ঐতিহ্যবাহী বাহদুর শাহ্ পার্কে বহুতল বিশিষ্ট বিপনী বিতান নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ায় আদলত পৌর মেয়র  এবং এলজিইড’র নির্বাহীকে প্রকৌশলীকে আদালত দশ দিনের শোকজ নোটিশ দিয়েছে। নাটোর সদরের সিনিয়র সহকারী জজ মোহাঃ আসাফ উদ্ দৌলার আদালতে সোমবার বাদী হয়ে বিপনী বিতান নির্মাণ কাজ বন্ধের আদেশ চেয়ে নাটোর শহরের বিশিষ্ট সমাজ কর্মী ও নজরুল মঞ্চের সভাপতি মোঃ গোলাম কামরান, আইনজীবী ও ক্রীড়াবিদ মোঃ আজিজার রনহহমান খান চৌধুরী আমেল এবং আইনজীবী ও সুজনের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম একটি মামলা করলে বিচারক বিকালে ওই শোকজ করে দশদিনের মধ্যে উত্তর দিতে আদেশ দিয়েছেন। প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরাতন এই পৌর এলাকার লালদীঘির পশ্চিমে পীলখানা সোনাপট্টিতে নয় শতক জমি ওপরে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব বাহদুর শাহ্ এর নামে ১৯৫৭ সালে শহরবাসীর চিত্ত বিনোদণের জন্য একটি পার্ক নির্মাণ করা হয়। এরপরে ১৯৮৭ সালে ওই বাহাদুর শাহ পার্কের জমিতে তদানিন্তত চেয়ারম্যান শংকর গোবিন্দ চৌধুরী একটি মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নিলে পৌর নাগরিকদের পক্ষে ডাঃ ময়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্মাণ কাজটি বন্ধ করে দেয়। এরপরে ২০০১ সালের দিকে তদানিন্তন পৌর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ওই পার্কের কিছু অংশে কয়েকটি টয়লেট ও কয়েকটি দোকান বিশিষ্ট একটি একতলা মার্কেট তৈরি করে পার্কের পরিবেশটি নষ্টের কাজ শুরু করেন। এরপর থেকেই পার্কটি চিত্ত বিনোদনের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ে। প্রয়াত চোরম্যান শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরীর কন্যা বর্তমান মেয়র উমা চৌধুরী জলি বাহাদুর শাহ পার্কের ভিতরে ৯৩ লাখ টাকা ব্যায়ে  ২১ টি দোকান বিশিষ্ট একটি বিপণী বিতান নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে ১৬ অক্টোবর ই-টেন্ডার আহবান করেছেন। এব্যাপার পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পৌরবাসীর সাথে তিনিও চিত্ত বিনোদণের পক্ষে তবে বাহাদুর শাহ্ পার্কের নয় শতক জমির মধ্যে তিন শতকের ওপরে সাবেক পৗর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম তার সময়ে টয়লেট, মার্কেট আর কয়েকটি চায়ের দোকান করে দেয়ায় সেখানে আর পার্কের কোন পরিবেশই নেই। এখন সেখানে ফাঁকা জায়গাটি মটর সাইকেল রাখার ষ্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে আর দিনে রাতে চলে মদ-গাঁজার রমরমা আড্ডা। তিনি বাহদুর শাহ্ এর নাম রেখেই মার্কেট তৈরী করে দিতে পারলে পরিবেশটি উন্নত হবে এবং পৌরসভার কিছু বাড়তি রাজস্ব আয় বাড়বে যা দিয়ে পৌরবাসীর অন্য কোন সেবা দেয়া যাবে।
নাটোর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, প্রায় ৯শতক জায়গায় প্রতিষ্ঠিত এই পার্কের প্রায় আড়াই শতকের মত জায়গা দখল হয়ে গেছে। বাকী প্রায় ৬শতক জায়গায় প্রায় ৯৩ লক্ষ টাকায় বানিজ্যিক ভবন নির্মানের প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করে নাটোর পৌরসভা। কিন্তু এখানে পৌরসভা কর্তৃক একটি বানিজ্যিক ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু না হতেই পার্কের স্থলে বানিজ্যিক ভবন নির্মানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শহরের নজরুল মঞ্চের সভাপতি গোলাম কামরান, সাতারু আজিজুর রহমান খান চৌধুরী, সুজনের যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মঙ্গলবার বিকালে নাটোর পৌর মেয়র ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রক
Blogger দ্বারা পরিচালিত.