Header Ads

সুন্দর নগরীর স্বপ্ন দেখেছিলেন আনিসুল হক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক আর নেই। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকাকে 'সুন্দর নগরী'তে পরিণত করার তার যে স্বপ্ন তা অপূর্ণই থেকে গেল।

২০১৫ সালে ডিএসসিসির মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পর ডিএনসিসি মার্কেট চালু, তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড সরিয়ে সড়ক উন্মুক্ত করা, শ্যামলী থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত সড়ক পার্কিংমুক্ত ঘোষণা, ফুটপাত দখলমুক্ত করাসহ বেশ কিছু প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন আনিসুল হক। এছাড়া রাজধানীর সৌন্দর্য্য বর্ধনে নিয়েছিলেন বেশকিছু উদ্যোগ।

গত বছরের শুরুতে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এমনই কিছু উদ্যোগের কথা জানিয়েছিলেন তিনি যার মধ্যে রয়েছে রাজধানীকে সুন্দর করতে যানজট নিরসনে তেজগাঁওসহ ১০টি এলাকার রাস্তা দখলমুক্ত করা, ২২টি ইউলুপ নির্মাণ, ৩ হাজার বাস নামানো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৭২টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন স্থাপন, সবুজায়নে ইকো বাস সার্ভিস চালু, ২০ হাজার বিলবোর্ড উচ্ছেদ ও পরিকল্পিত বিলবোর্ড স্থাপন, জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ, সড়কে এলইডি বাতি সংযোজন, প্রধান সড়কগুলোকে রিকশামুক্ত করা, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পাবলিক টয়লেট স্থাপন।
গত শতাব্দির আশির দশক থেকে নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করা আনিসুল হক ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে বিটিভিতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মুখোমুখি একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছিলেন।

ব্যবসায়ী হিসেবেও আনিসুল হক ছিলেন সফল। ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালে বিজিএমইএর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৮ সালে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।

২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আনিসুল হক আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন লাভ করেন এবং বিজয়ী হন।

আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে নাভিদুল হক বোস্টনের বেন্টলি ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে বর্তমানে মোহাম্মদি গ্রুপের পরিচালক ও দেশ এনার্জি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.