রোহিঙ্গাদের চাপে কক্সবাজারে সবজির দাম চড়া
বাজারে শীতকালীন সবজি উঠলেও দাম বেশি। ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। বাজার করতে এসে অস্বস্তিতে ক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি মাঠ পর্যায়েই সবজির দাম বেশি। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় সবজির দাম কমছে না। আর রোহিঙ্গাদের বাড়তি চাপে সবজির দাম আপাতত কমার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
গত সোমবার সন্ধ্যায় শহরের কানাইয়া বাজারে নুনিয়ারছড়া এলাকার বাসিন্দা রমিজ উদ্দিনের (৪০) সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আমি টমটম চালাই। সারাদিন ৮০০ টাকার মত আয় হয়ছে। গ্যারেজ ভাড়া ও ব্যাটারি চার্জের আপনার অ্যান্ড্রয়েড বাদ দিলে আর ৫০০ টাকা থাকবে। এর মধ্যে বাজারে এসে মাছ তরকারি কিনতে গিয়ে সব টাকা শেষ হওয়ার পথে।
তিনি বলেন, দুই মাস আগেও আলুর কেজি ছিল ১৫ টাকা সেই আলু এখন ৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি কিনেছি ৩০ টাকায়। সেই কাঁচা মরিচ এখন ১৩০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ টাকা। এক কেজি চাল কিনতাম ৩০ টাকার মধ্যে, সেই চাল এখন ৫৩ টাকা কেজি।
বাজারে নতুন শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। বাঁধাকপি ১০০ টাকা, টমেটোর কেজি ১২০ টাকা, বড় আলু ৬৫ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, বরবটি ৬৫ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৭০ টাকা, করলা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বলেন, এখন সবজির দাম কম থাকার কথা, কিন্তু, বাজারে সবজির তেমন মজুদ নেই। তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে সবজির দাম বাড়তি তাই আমরা বিক্রি করছি বেশি দামে। তিনি বলেন, কক্সবাজারে যতদিন রোহিঙ্গা থাকবে ততদিন বাজারের তরিতরকারির দাম কমবে বলে মনে হয় না।
ব্যবসায়ী শরীফ বলেন, আগে আমাদের সবজি চট্টগ্রামে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে হতো। এখন তাদের সবজি আমাদের বাজারে আনতে হচ্ছে। আগে রামুর বাজার থেকে আমরা পাইকারি সবজি কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করতাম।
রামুর পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিদিন সকাল বেলায় তার সব সবজি নিয়ে যাচ্ছে সরকারি বা বিভিন্ন সংস্থার লোকজন। মূলত তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য নিয়ে যায়। দৈনিক ১০ ট্রাকের মত মাল সেখানেই নিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের বাজারে কিভাবে সবজি বা তরকারি থাকবে? তাই দাম বাড়তি। দাম কমার সম্ভাবনা আপাতত নেই।
চকরিয়া বাজারের পাইকারি তরকারি ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বলেন, কক্সবাজারে সবচেয়ে বড় সবজির আড়ত চকরিয়ায় ১৮টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এখন চাষিকে আর সবজি নিয়ে বাজারে যেতে হয় না। কারণ এত বেশি চাহিদা যার ফলে সবজির দাম মাঠ পর্যায়েও অনেক বেশি। তবে সেক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছে বলে জানান তিনি।
TMNEWS24
গত সোমবার সন্ধ্যায় শহরের কানাইয়া বাজারে নুনিয়ারছড়া এলাকার বাসিন্দা রমিজ উদ্দিনের (৪০) সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আমি টমটম চালাই। সারাদিন ৮০০ টাকার মত আয় হয়ছে। গ্যারেজ ভাড়া ও ব্যাটারি চার্জের আপনার অ্যান্ড্রয়েড বাদ দিলে আর ৫০০ টাকা থাকবে। এর মধ্যে বাজারে এসে মাছ তরকারি কিনতে গিয়ে সব টাকা শেষ হওয়ার পথে।
তিনি বলেন, দুই মাস আগেও আলুর কেজি ছিল ১৫ টাকা সেই আলু এখন ৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি কিনেছি ৩০ টাকায়। সেই কাঁচা মরিচ এখন ১৩০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ টাকা। এক কেজি চাল কিনতাম ৩০ টাকার মধ্যে, সেই চাল এখন ৫৩ টাকা কেজি।
বাজারে নতুন শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। বাঁধাকপি ১০০ টাকা, টমেটোর কেজি ১২০ টাকা, বড় আলু ৬৫ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, বরবটি ৬৫ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৭০ টাকা, করলা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বলেন, এখন সবজির দাম কম থাকার কথা, কিন্তু, বাজারে সবজির তেমন মজুদ নেই। তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে সবজির দাম বাড়তি তাই আমরা বিক্রি করছি বেশি দামে। তিনি বলেন, কক্সবাজারে যতদিন রোহিঙ্গা থাকবে ততদিন বাজারের তরিতরকারির দাম কমবে বলে মনে হয় না।
ব্যবসায়ী শরীফ বলেন, আগে আমাদের সবজি চট্টগ্রামে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে হতো। এখন তাদের সবজি আমাদের বাজারে আনতে হচ্ছে। আগে রামুর বাজার থেকে আমরা পাইকারি সবজি কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করতাম।
রামুর পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিদিন সকাল বেলায় তার সব সবজি নিয়ে যাচ্ছে সরকারি বা বিভিন্ন সংস্থার লোকজন। মূলত তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য নিয়ে যায়। দৈনিক ১০ ট্রাকের মত মাল সেখানেই নিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের বাজারে কিভাবে সবজি বা তরকারি থাকবে? তাই দাম বাড়তি। দাম কমার সম্ভাবনা আপাতত নেই।
চকরিয়া বাজারের পাইকারি তরকারি ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বলেন, কক্সবাজারে সবচেয়ে বড় সবজির আড়ত চকরিয়ায় ১৮টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এখন চাষিকে আর সবজি নিয়ে বাজারে যেতে হয় না। কারণ এত বেশি চাহিদা যার ফলে সবজির দাম মাঠ পর্যায়েও অনেক বেশি। তবে সেক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছে বলে জানান তিনি।
TMNEWS24