প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাকে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের 'মাইকের হর্ন' বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন ও ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম ব্যবহার নিয়ে সিইসি পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য দেয়ায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচিকাঁচার মিলনায়তনে বুধবার সন্ধ্যায় এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রিজভী এসব কথা বলেন। বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, 'নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বললেন - ইভিএম ব্যবহার হবে না, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হবে। তার একদিন পরেই সিইসি বললেন, না না, এটা তার ভিন্নমত।'
তিনি বলেন, ‘একজন কমিশনার যখন একটি কথা বলবেন, তখন এটা তো গোটা নির্বাচন কমিশনেরই কথা। এরকম কথা বলার কারণটা কী? কারণ হলো- সিইসি হচ্ছেন একটা মাইকের হর্ন। এই মাইকের হর্ন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যা বলা হবে তা-ই বলবে।’‘কারণ উনি জনতার মঞ্চে উঠেছেন। তাকে দলীয় দায়িত্বে শপথ পড়িয়ে সিইসি বানানো হয়েছে’ অভিযোগ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবের।
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের দাবি হচ্ছে ইভিএম ব্যবহার চলবে না। কারণ, ইভিএম দূর থেকে ম্যানিপুলেট করার সম্ভাবনা রয়েছে। এনিয়ে শুধু বিএনপি আপত্তি জানায়নি, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাসহ অনেকেই এর বিরোধিতা করেছে।’
রিজভী বলেন, ‘ম্যাজিস্টেসি পাওয়ার (বিচারিক ক্ষমতাসহ)সহ সেনা মোতায়নের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এটা তো প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ হবে না। উনিতো হাসিনা মার্কা নির্বাচন করবেন। রাত ৩টার মধ্যে ব্যালট বাক্স ভরে যাবে। সুবহে সাদিকের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা হয়ে যাবে- আওয়ামী লীগ জিতে গেছে। তো উনি এই নির্বাচন ছেড়ে আসল প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করবেন কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘সবার উপরে সুপ্রিম বিচারপতি শেখ হাসিনা। উনি অন্য কোনো সংগঠনের বা রাষ্ট্রের অন্য কোনো অঙ্গের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না। বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবেন, তা করতে গিয়ে যদি বিরোধী দলকে কোনো প্রতিকার দেন সেটা চলবে না। তাকে পালিয়ে যেতে হবে। আর না হলে গুম হয়ে যেতে হবে।’
এসময় ভারতের অপসংস্কৃতিক থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমাদের অসাধারণ সম্পদ আছে। হীরক খণ্ডের মতো সম্পদ আছে। এটাকে চমৎকারভাবে তৈরি করে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নামতেই হবে, যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’
জাসাস সভাপতি ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হেলাল খানের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমদ উজ্জল, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল প্রমুখ।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচিকাঁচার মিলনায়তনে বুধবার সন্ধ্যায় এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রিজভী এসব কথা বলেন। বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, 'নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বললেন - ইভিএম ব্যবহার হবে না, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হবে। তার একদিন পরেই সিইসি বললেন, না না, এটা তার ভিন্নমত।'
তিনি বলেন, ‘একজন কমিশনার যখন একটি কথা বলবেন, তখন এটা তো গোটা নির্বাচন কমিশনেরই কথা। এরকম কথা বলার কারণটা কী? কারণ হলো- সিইসি হচ্ছেন একটা মাইকের হর্ন। এই মাইকের হর্ন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যা বলা হবে তা-ই বলবে।’‘কারণ উনি জনতার মঞ্চে উঠেছেন। তাকে দলীয় দায়িত্বে শপথ পড়িয়ে সিইসি বানানো হয়েছে’ অভিযোগ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবের।
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের দাবি হচ্ছে ইভিএম ব্যবহার চলবে না। কারণ, ইভিএম দূর থেকে ম্যানিপুলেট করার সম্ভাবনা রয়েছে। এনিয়ে শুধু বিএনপি আপত্তি জানায়নি, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাসহ অনেকেই এর বিরোধিতা করেছে।’
রিজভী বলেন, ‘ম্যাজিস্টেসি পাওয়ার (বিচারিক ক্ষমতাসহ)সহ সেনা মোতায়নের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এটা তো প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ হবে না। উনিতো হাসিনা মার্কা নির্বাচন করবেন। রাত ৩টার মধ্যে ব্যালট বাক্স ভরে যাবে। সুবহে সাদিকের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা হয়ে যাবে- আওয়ামী লীগ জিতে গেছে। তো উনি এই নির্বাচন ছেড়ে আসল প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করবেন কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘সবার উপরে সুপ্রিম বিচারপতি শেখ হাসিনা। উনি অন্য কোনো সংগঠনের বা রাষ্ট্রের অন্য কোনো অঙ্গের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না। বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবেন, তা করতে গিয়ে যদি বিরোধী দলকে কোনো প্রতিকার দেন সেটা চলবে না। তাকে পালিয়ে যেতে হবে। আর না হলে গুম হয়ে যেতে হবে।’
এসময় ভারতের অপসংস্কৃতিক থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমাদের অসাধারণ সম্পদ আছে। হীরক খণ্ডের মতো সম্পদ আছে। এটাকে চমৎকারভাবে তৈরি করে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নামতেই হবে, যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’
জাসাস সভাপতি ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হেলাল খানের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমদ উজ্জল, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল প্রমুখ।