Header Ads

পটুয়াখালীতে পালিয়ে বেড়ান বাদী, ঘুরে বেড়ান আসামি সংবাদ সম্মেলন Tmnews24

mnews24.পালিয়ে বেড়ান বাদী, ঘুরে বেড়ান আসামিরা
পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের ধরতে বাদীর সংবাদ সম্মেলন
পটুয়াখালীতে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার চার মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও আসামিরা ধরা পড়েননি। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য অাসামিদের অব্যাহত হুমকি, ভয়-ভীতি প্রদর্শনের কারণে নিজ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মামলার বাদীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও তাদের শাস্তির দাবিতে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে মামলার বাদী ইদ্রিস মোল্লা।
ইদ্রিস মোল্লা পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ছইলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইদ্রিস মোল্লা জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে নিজ বাড়িতে তাদের চোখের সামনে তার ছেলে এসএসসির পরীক্ষার্থী মো. শফিক মোল্লাকে (১৭) নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
শফিককে হত্যা করেন মাইনুদ্দিন, মোশারেফ, মোকাররম, জহিরুল, আব্বাস, নাসির, খোকন, তপনসহ আরও কয়েকজন। এ ঘটনায় ১৩ মার্চ তারিখ গলাচিপা সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। যার নং-সিআর ১৭/২০১৭।
আসামিরা সে সময় মামলা তুলে নিতে হুমকি দিতে থাকে। মামলা তুলে না নেয়ায় চলতি বছর ১ আগষ্ট ইদ্রিসের ছোট ভাই দোলোয়ার মোল্লা (৫০), ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন বোগম (৪০) এবং ভাইয়ের একপাত্র পালিত কন্যা কাজলী বেগমকে (১৫) একই বাড়িতে নির্মমভাবে কুপিয়ে, শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে আসামিরা।
অভিযোগ করে ইদ্রিস বলেন, পুলিশের নিষ্ক্রীয়তার কারণে কোন হত্যাকাণ্ডরই সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে না। আসামিদের অব্যাহত হুমকির কারণে তিনি নিজ ভিটা ছেড়ে প্রাণের ভয়ে শ্বশুরবাড়ি পার্শবর্তী আউলিয়াপুরে স্থায়ীভাবে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন। সেখানেও ইদ্রিসকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন আসামিরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইদ্রিস মোল্লার স্ত্রী মিনারা বেগম জানান, তার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলেকে পরীক্ষার এক দিন আগে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার দাবি চাঞ্চল্যকর এ চারটি হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হোক।
মামলার বিষয়ে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইদুল ইসলাম জানান, একই সঙ্গে তিনটি হত্যার আসামি সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। কয়েকটি অভিযানও পরিচালনা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এর আগের হত্যা মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমানের সঙ্গে রাজশাহী. করলে তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন বলে জানান।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.