Header Ads

দুর্নীতি হয়নি, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা: খালেদা


জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার কারণে ক্ষমতাসীনরা তাঁকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে এসব মামলায় জড়িয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে খালেদা জিয়া পঞ্চম দিনের মতো আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য শুরু করেন।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়।
খালেদা বলেন, 'জিয়া অরফানেজের অর্থ সংগ্রহে আইনের কোনো ব্যতয় ঘটেনি। ট্রাস্টের কোনো পদে আমি ছিলাম না। অনুদান সংগ্রহ ও বিতরণের সঙ্গেও আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বাগেরহাটে অনুদানের টাকায় ট্রাস্টের মাধ্যমে এতিমখানা সুচারুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। কোনো অভিযোগ সত্য নয়।'
অধস্তন আদালত আইন মন্ত্রণালয়ের প্রভাবমুক্ত হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, 'সম্প্রতি ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আদালতের ওপর শাসক মহলের কর্তৃত্ব আরও বেড়েছে। ন্যায়বিচারের সুযোগ আরও সীমিত হয়েছে। জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল সুপ্রিম কোর্টে ন্যাক্কারজনক ও নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে।'
খালেদা বলেন, 'সংবাদ মাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচার করতে পারছে না। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করার কারণেই এসকে সিনহা সরকারের রোষানলে পড়েন।'
বিচারকের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনি দেখেছেন প্রধান বিচারপতিকে কী ধরনের পরিণতির শিকার হতে হয়েছে, তা সবাই জানে। এসকে সিনহাকে তার পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিল করার পর থেকেই ক্ষমতাসীনদের অপতৎপরতা শুরু হয়। শাসক মহল তাদের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেনি। তারা প্রকাশ্যে প্রধান বিচাপতিকে হুমকি ও আক্রমণাত্মক আচরণ করতে শুরু করে। ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে রায় দেয়ার অপরাধে তাকে চলে যেতে বলা হয়।'
খালেদা বলেন, 'সিনহা আত্মপক্ষ সমর্থন করে ব্যাখ্যা দিয়েও ক্ষমতাসীনদের ক্ষোভ কমাতে পারেননি। তাকে তার বাসভবনে কয়েক দিন অন্তরীণ ও বিচ্ছিন্ন অবস্থায় কাটাতে হয়। এরপর সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় এসকে সিনহা অসুস্থ। পরে তাকে বিদেশে পাঠানো হয়।' tmnews24
Blogger দ্বারা পরিচালিত.