দাদার মরদেহ দেখা হলো না শ্রেয়ার

শ্রেয়া ঝা। টাঙ্গাইলের কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্রী তিনি। শ্রেয়া নেপালের মাহোত্রারী সানফা-৩ এলাকার বাসিন্দা। কদিন আগে তার দাদা মারা গেছেন। দাদার মৃত্যুর সংবাদে মরদেহ দেখতে বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু দাদার মরদেহ দেখতে গিয়ে তিনি নিজেই লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।

সোমবার দুপুরে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-২১১ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন হতভাগা শ্রেয়া ঝা।

কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার নেপাল থেকে শ্রেয়া ঝার দাদার মৃত্যু সংবাদ আসে। সংবাদ পেয়ে তিনি ছুটির আবেদন করেন।

ছুটি মঞ্জুর হলে ১২ মার্চ সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে নেপাল রওনা হন। দুপুরে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।

কুমুদিনী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এমএ হালিমের সঙ্গে কথা হয়।

আবেগাপ্লুত হয়ে কাাঁদতে কাাঁদতে তিনি বলেন, এ রকম মৃত্যু যেন আর কারও না হয়।

এদিকে বিমান দুর্ঘটনায় কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ছাত্রী শ্রেয়া ঝার মৃত্যুর খবরে কলেজ ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, সোমবার ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পড়ে। বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেওয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে অর্ধশতাধিক যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। তাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ।