একা হয়ে গেলেন জাহ্নবী
মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবিতে শ্রীদেবীর সেই জনপ্রিয় গান ‘হাওয়া হাওয়াই’র প্রথম কয়েক লাইন ‘ম্যায় খাবো কি শেহজাদি, ম্যায় হু হার দিল পে ছায়ি’। এখন মনে হচ্ছে, গানের কথাগুলো এই নায়িকাকে ভেবেই লেখা। জীবিত অবস্থায় শ্রীদেবী ছিলেন অসংখ্য মানুষের স্বপ্নের রাজকন্যা, মৃত্যুর পর আরও একবার প্রমাণ করলেন, কীভাবে সবার হৃদয়জুড়ে আছেন তিনি। বলিউডের নারী সুপারস্টার শ্রীদেবীর মৃত্যুতে স্তব্ধ বলিউড। এখনো অনেকে তাঁর আচমকা মৃত্যুর খবর মেনে নিতে পারছেন না। কিন্তু সবচেয়ে বেশি কষ্ট বুঝি পাচ্ছেন তাঁর বড় মেয়ে জাহ্নবী। মায়ের মৃত্যুর আগের কয়েকটি দিন তিনি ছিলেন তাঁর থেকে অনেক অনেক দূরে।
সুস্থ-সবল শ্রীদেবী দুবাই গেলেন। সেখানে ননদের ছেলের বিয়েতে পরিবারের সবার সঙ্গে ইচ্ছামতো মজা করলেন। ফ্যাশনপ্রেমীরা শ্রীদেবীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নিয়মিত চোখ রাখতেন। ফ্যাশনেবল এই নায়িকা কখন কী পরছেন, কীভাবে সাজগোজ করছেন—সেটাই দেখার আগ্রহ তাঁদের। পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার আগের কয়েকটা দিন কাছের মানুষদের সঙ্গে আনন্দে কেটেছে শ্রীদেবীর। সবাই কাছে থাকলেও শেষ কয়েক দিন বড় মেয়ে জাহ্নবীকে কাছে পাননি। অথচ মেয়ের সবচেয়ে বড় অভিভাবক আর সব সময়ের সঙ্গী ছিলেন শ্রীদেবী।
শ্রীদেবী ও বনি কাপুরের বড় মেয়ে জাহ্নবী কাপুর তাঁর প্রথম ছবি ‘ধাড়াক’-এর শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কাজিন মোহিত মারওয়ারের বিয়েতে দুবাই যেতে পারেননি। অগত্যা তাঁকে রেখেই স্বামী বনি কাপুর আর ছোট মেয়ে খুশির সঙ্গে কিছুদিন আগে দুবাই উড়াল দেন শ্রীদেবী।


