আর্কষনীয় পর্যটন কেন্দ্র হবে রাঙ্গাবালী উপজেলা-সচিব আব্দুল মালেক

বিলাস দাস, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: দেশের সম্ভাবনাময় এবং তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ঘিরে পটুয়াখালী জেলা বিচ্ছিন্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা (দ্বীপ)রাঙ্গবালী উপজেলাকে নতুন রুপায়নে রুপান্তরীত করা হবে। এ উপজেলাকে ঘিরে সরকার তথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গ্রহন করেছে মহাপরিকল্পনা এবং মেঘা প্রকল্প। শুক্রবার দুপুরে রাঙ্গাবালী উপজেলা চত্বরে জলবায়ু পরিবর্তণ অভিযোজন বিষয়ক প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয় ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সচিব আব্দুল মালেক একথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখা হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহ এবং প্রচেষ্টায় উন্নয়নে জেগে উঠেছে সাগর উপকূলীয় পটুয়াখালী জেলাধীন রাঙ্গাবালী উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আর এ উন্নয়নের ধারায় চলমান রয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পায়রা তাব বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দর, পায়রা সেতু এবং চার বিশিষ্ট মহাসড়কের কাজ। সম্পন্ন করা হয়েছে সাব মেরীন ক্যাবেল ল্যাডিং ষ্টেশন, পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত তিন সেতুর কাজ, কোষ্টগার্ড ট্রেনিং সেন্টার। এছাড়াও রাঙ্গাবালী প্রকল্প নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। যেখানে ৫০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ণ করা হবে এবং বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক সরকার জলবায়ু পরিবর্তণ অভিযোজন বিষয়ে নতুন একটি প্রকল্পের চুক্তি করেছেন। সেখানে রাঙ্গাবালী উপজেলাকে অর্šÍভূক্ত করা হয়েছে। ওই প্রকল্পে ১শ কোটি টাকাবরাদ্ধ দেয়া হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ এ
প্রকল্প বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে হাইসাওয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পায়রা বন্দরের কথা মাথায় রেখে দেশী এবং বিদেশী পর্যটকদের সুবিদা দিতে এ উপজেলাকে আধুনিক এবং আর্কষণীয় পর্যটন কেন্দ্র করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং জেলা সাথে এই উপজেলার সংযোগ আরো উন্নত করা হবে।
এরই মধ্যে উন্নয়নের ধারায় পায়রা বন্দরের সাথে রাঙ্গবালী উপজেলার সংযোগ করে দেশের পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করতে দারছিরা নদীতে ২৮০ মিটার সেতু, কাউখালী খালের উপর ৬০মিটার সেতু, এবং কাছিয়াবুনিয়া খালের উপর ২৮০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুর কাজ উদ্ভোধন করা হয়েছে। এ উপজেলাকে সম্প্রসারিত করতে শুক্রবার তিনটি সেতু নির্মান, রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালবার্ড, মসজিদ, মন্দির এবং সুপেয় পানির জন্য টিউবওয়েল নির্মাণ সহ একাধিক প্রকল্প গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান। দীর্ঘ ছয় কিলোমিটার আগুনমূখা নদী অতিক্রম করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এ উপজেলার প্রতিিিট ঘরে ঘরে দেয়া হবে বিদ্যুৎ সংযোগ। স্বাস্থ্য সেবা মান বাড়িয়ে এখানে একটি এম্বুলেন্স দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তরান্বিত করা হবে শিক্ষা সেবার ব্যবস্থা।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় তার সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মাছুমুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমান মোহন, গলাচিপা পৌরসভা মেয়র আহসানুল হক তুহিন, আওয়ামী নেতা আব্দুলাহ আল ইসলাম লিটন প্রমূখ