Header Ads

ক্যাচ ছাড়লেও ম্যাচ ছাড়েননি মাহমুদউল্লাহ! tmnewa24

ফিল্ডিংয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি খুলনা টাইটানস অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। একাই ছেড়েছেন তিন-তিনটি ক্যাচ! ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য মিটিয়েছেন এই ব্যর্থতার খেদ। চাপের মুহূর্তে তাঁর ব্যাটে ভর করে চিটাগং ভাইকিংসকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা।

মাহমুদউল্লাহ ছাড়া ক্যাচ ছেড়েছেন তাঁর সতীর্থরাও। সুযোগের ফায়দা তুলতে কার্পণ্য করেনি চিটাগং। এনামুল হক বিজয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ১৬০ রান তোলে লুক রনকির দল। চিটাগংয়ের নিয়মিত অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক এ ম্যাচে দলে ছিলেন না। ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই মাইকেল কিলিঙ্গারকে হারায় খুলনা। ৭ ওভারের মধ্য দলীয় ৬০ রানে কিলিঙ্গার, ধীমান ঘোষ ও রাইলি রুশোকে হারিয়ে বেশ চাপে ছিল মাহমুদউল্লাহর দল। খুলনার এই ৬০ রানে রুশোর একার অবদান ৪৯।

ষষ্ঠ ওভারে ধীমান আউট হওয়ার পর রুশোর সঙ্গে জুটি বাঁধেন মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারেই রুশোর উইকেট ছত্রখান করে দেন চিটাগংয়ের পেসার আল-আমিন। ৭ ওভার শেষে খুলনার স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৬১। অর্থাৎ ৭৮ বলে খুলনা তখনো জয় থেকে কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রানের দূরত্বে পিছিয়ে। এখান থেকে মাহমুদউল্লাহ রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও অপর প্রান্তে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ৯ রান করে চিটাগংয়ের লেগি তানভীর হায়দারের শিকার হন তিনি।

পঞ্চম উইকেটে অধিনায়কের সঙ্গে দলের হাল ধরেন আরিফুল হক। ৭০ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ-আরিফুল। এ দুজন ব্যাটিংয়ের সময় ধীরে ধীরে কমে আসে বল আর রানের ব্যবধান। ১৮তম ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে আরিফুল হক যখন আউট হন, জয় থেকে তখন ১৫ বলে মাত্র ১২ রানের দূরত্বে পিছিয়ে খুলনা। তাসকিনের সেই ওভারেই শেষ দুই বলে এক চার এবং এক ছক্কায় ১০ রান নিয়ে খুলনাকে জয় দেখিয়ে দেন কার্লোস ব্রাফেট। পরের ওভারে বাউন্ডারি মেরে জয় তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ।

১০ বল হাতে রেখে খুলনার তুলে নেওয়া এই জয়ের কান্ডারি মূলত অধিনায়কের ৩৫ বলে ৪৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। ১ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজান তিনি। দলকে জিতিয়েই ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ ছাড়ার খেদ মিটিয়েছেন খুলনা অধিনায়ক।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে ক্যাচ ছাড়ার মহড়া দেয় খুলনার ফিল্ডাররা। ইনিংসের প্রথম বলেই দুর্দান্ত চেষ্টা চালিয়েও রনকিকে তালুবন্দী করতে পারেননি রাইলি রুশো। ১১তম ওভারে সৌম্যর সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন মাহমুদউল্লাহ। স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে তাঁর মুঠো ফসকে যায় বল। এক ওভার পরই সৌম্যর আরও একটি ক্যাচ মিস করেন মাহমুদউল্লাহ। এ ছাড়া ১৮তম ওভারে আবু জায়েদের প্রথম বলে ক্লিঙ্গার ক্যাচ মিসের পর চতুর্থ বলে ফন জিলকে ‘জীবন’ উপহার দেন সেই মাহমুদউল্লাহই।
কিন্তু এমন ম্যাচেই আবার ব্যাট হাতে দলকে জেতাতে পারলে ক্যাচ ছাড়া কে মনে রাখে! tmnews24
Blogger দ্বারা পরিচালিত.