Header Ads

পরকীয়ার জন্যই স্বামী-সন্তানকে বলি দেন আরজিনা

পরকীয়ার জন্যই স্বামী-সন্তানকে বলি দেন আরজিনা
রাজধানীর বাড্ডায় জামিল শেখ ও মেয়ে নুসরাত হত্যাকাণ্ডে স্ত্রী আরজিনা বেগম ও তার কথিত প্রেমিক শাহিন মল্লিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ বলছে, শাহিনের সাথে আরজিনার পরকীয়ার বলি হয়েছেন স্বামী ও সন্তান। নুসরাত মায়ের অপকর্ম দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করে শাহীন। এতে তার মা আরজিনা বেগমের সম্মতি ছিল। আজ শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ জানান, আরজিনা বেগম ও জামিল ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাড্ডায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। একই বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন শাহীনও। ওই বাড়ির প্রথম তলায় থাকতো আরজিনারা। আর তৃতীয় তলায় থাকতেন শাহিন ও তার স্ত্রী মাসুমা। মাসুমা সারাদিন অন্যের বাসায় কাজ করতেন। জামিল ছিলেন ড্রাইভার। আরজিনা বেগম ও শাহিন দু’জনই সারা দিন বাসায় থাকতেন। সে সুযোগে তাদের মধ্যে নৈকট্য তৈরি হয়। কয়েকদিন পর ওই বাড়ি ছেড়ে জামিল ও আরজিনা ময়নারবাগের ৩০৬ নম্বর বাড়িতে ভাড়া ওঠেন। নতুন বাসায় এসেও শাহিনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন আরজিনা। নিয়মিত তার সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। শাহিকে কাছে পেতে নতুন কৌশল আঁটেন তিনি। সংসারের খরচ কমানোর কথা বলে শাহীনের পরিবারকে সাবলেটে নিজেদের বাসায় উঠানোর পরামর্শ দেন স্বামী জামিলকে। পূর্বপরিচিত হওয়ায় জামিল রাজি হয়ে যান। এরপর থেকে একই বাসায় থাকছিলো দুটি পরিবার। এ সুযোগে শাহিন-আরজিনার পরকীয়া চুড়ান্ত রূপ পায়। এক পর্যায়ে আরজিনা জামিলকে তালাক দিয়ে শাহিনের সাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও শাহিন তালাকের পক্ষে ছিলেন না। এরপর আরজিনা-শাহিন মিলে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত বুধবার রাতে দুই সন্তানকে সাথে নিয়ে একসাথে ঘুমান জামিল ও আরজিনা। পরিকল্পনা অনুযায়ী আরজিনা ঘরের দরজা খুলে রাখেন। গভীর রাতে শাহীন একটি কাঠের টুকরা হাতে নিয়ে ঘরে ঢুকে জামিলের মাথায় আঘাত করেন। প্রথম আঘাতের পর জামিল উঠে জিজ্ঞেস করে কেন তাকে আঘাত করা হল। কিন্তু কোনো উত্তর না দিয়ে শাহীন উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকলে এক পর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে যায় জামিলের শরীর। এমন সময় নুসরাত ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি শুরু করলে তাকেও হত্যা করতে চায় শাহিন। প্রথমে আরজিনা রাজি না হলেও পরে শাহিনের কথায় নিজের মেয়েতে হত্যায় সম্মতি দেন আরজিনা। শাহিন তখন মুখে বালিশ চেপে ধরে তাকে খুন করে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.